themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114আবু রেজা :
অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে শরীরচর্চার কোন বিকল্প নেই, আর এ জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত মাঠ, পার্ক, ফুটপাত, পুকুরসহ উম্মুক্ত জায়গা। এসব উন্মুক্ত স্থান তৈরিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নগরের মাঠ, পার্ক, জলাধারসহ উম্মুক্ত জায়গাগুলো নানাভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। এ স্থানগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য হতে মানুষকে দুরে রাখতে বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য সম্বলিত বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ এবং অতিরিক্ত চিনিযুক্ত পানীয়ের উপর উচ্চহারে করআরোপ জরুরি। আজ ১৯ মে ২০২৪ এনজিও ফোরামের কনফারেন্স কক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের, সেন্টার ফর ল এন্ড পলিসি অ্যাফেয়ার্স ও সিটিজেন নেটওয়ার্ক আয়োজিত কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, অতিরিক্ত মোটা হওয়া, শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম না করার কারণে অনেক মানুষ হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়বেটিস, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, যা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে। এসব অসংক্রামক রোগের অধিকাংশই আচরণ ও খাদ্যভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। যা দেশে সুস্থ্য্ জনগোষ্ঠী গড়ে তুলতে গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখবে।
কর্মশালায় বলা হয়, মোড়কজাত খাবারে অতিরিক্ত চিনি ও লবন অসংক্রামক রোগ সৃষ্টির অন্যতম কারন। অনেক খাদ্যের মোড়কে কি পরিমান চিনি ও লবন আছে তা খুবই ছোটা ফন্টে লেখা থাকে। কিন্তু খাদ্যপণ্যের লিখিত তথ্যাদি অধিকাংশ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব না। এ জন্য মোড়কজাত পণ্যের মোকের সামনে ছবিসহ তথ্যাদি (ফ্রন্ট প্যাক লেভেলিং ট্রাফিক লাইন মার্কিং) থাকা প্রয়োজন। যাতে জনগণ সহজে বুঝতে পারে কোন পণ্যে অতিরিক্তি লবন বা চিনি রয়েছে। এ জন্য নিরাপদ খাদ্য আইন অনুসারে মোড়কজাত বিধিমালায় মাধ্যমে ট্রাফিক লাইন মার্কিং নিশ্চিত করা জরুরি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শহিদুল আলম, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খন্দকার, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ, ড. ফারজানা ডরিন, ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, প্রফেসর এ ফসএম সারোয়ার, উপদেষ্টা, সিএলপিএল, এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম, সে্ক্রেটারি, সিএলপিএ, আমিনুল ইসলাম বকুল, হেড অব প্রোগ্রাম সিএলপিএ। দু’দিনব্যাপী এ কর্মশালায় সিটিজেন নেটওয়ার্কের ৩০ টি জেলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন ।