অনলাইন ডেস্ক:
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ ছাত্রদের প্রতি যত্মবান ও সহনশীল থাকার নিদের্শনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমন্বয় করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একইভাবে তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দিয়েছেন। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বলা হয়েছে, আমরা তাদের দাবির সঙ্গে একমত। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর সঠিক বিচারও হবে। আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত টিম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তাদের কথা শুনবেন। এ বিষয়ে দলীয় সভাপতি ও জোটনেত্রীকে রিপোর্ট করবেন।
নেতারা বলেছেন, বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের বা আমাদের আপত্তি নেই। তারা আন্দোলন করছে করুক। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। শিক্ষার্থীদের ওপর কেউ যেন কোনো অন্যায় আচরণ না করে, সে নির্দেশনাও দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পড়ামহল্লায় সতর্ক থাকার জন্যও বলে দিয়েছেন।
গণভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে, এই বৈঠকের বাইরেও গত রাতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। সূত্রের ধারণা, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি অবগত করা ও নির্দেশনা নেওয়ার জন্যই তিনি গণভবনে যান।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগের আলোচনার এ সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন আন্দোলনকারীরা, তারা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে বসবেন কি না, সে বিষয়ে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।