themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114অনলাইন ডেস্ক:
খুব শিগগিরই আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রগুলো বলছে, বেশ কয়েকটি মন্ত্রনালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী না থাকায় সরকার বাড়তে যাচ্ছে মন্ত্রিসভার কলেবর। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানী সফরের পর চূড়ান্ত বাস্তবায়নের পথে যেতে পারে বলে জানিয়েছে দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, নতুন মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন, কারা থাকবেন না সে বিষয় নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা থাকলেও বিষয়টি একান্তই প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারের বিষয়ে। প্রধানমন্ত্রী সকল বিষয় বিবেচনায় এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে মন্ত্রিসভায় কারা থাকতে পারেন, না পারেন এ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুমান রয়েছে। নানা রকম সমীকরণ মেলানো হচ্ছে।
এ আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত জানুয়ারী মাসে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়। এর মধ্যে ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠক করেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়ছে যে চলতি মাসের শেষে বাস্তবায়ন হতে পারে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জার্মানী সফরের পর চূড়ান্ত বাস্তবায়ণের পথে যেতে পারে। দ্বিতীয় দফায় কারা মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন নতুন কিংবা কয়েকজন সাবেক সদস্য ও ১৪ দলের দুই একজন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসন থেকেও কয়েকজন মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিতে পারেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রগুলো আরও বলছে, নতুন নারী সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের কাজ সম্পন্ন করা হবে। সে হিসাবে চলতি মাসের শেষ দিকে মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ হতে পারে। মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন আরো কমপক্ষে ১০ জন নতুন মুখ।
বর্তমান মন্ত্রী সভায় পরিকল্পনাসহ কয়েকটি মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে কয়েকজনকে। এ ছাড়া শ্রম ও সাংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব এখনো কাউকে দেয়া হয় নি। এসব বিবেচনায় মন্ত্রী সভার আকার বাড়তে পারে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলে।
মন্ত্রিসভা আকারে বড় হচ্ছে কী না এমন প্রশ্নের জবাবে গত সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলতে পারবেন। তবে এখানে সময় মত কিছু জায়গায় যেমন শ্রম মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃত মন্ত্রণালয় (১২ ফেব্রুয়ারি) যেখানে এখনও মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী দেয়া হয়নি) এগুলোতে কোনো না কোনো সময় মন্ত্রী আসবে।
তিনি আরও বলেন, মনে হয় সংরক্ষিত মহিলা আসনগুলো আসার পরে, মন্ত্রী আসতে পারে। সেই হিসেবে এর পরে চিন্তা-ভাবনা। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারে তিনি এটা করবেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হওয়া সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের পরই মন্ত্রিসভার সদস্য বাড়ানো হতে পারে। সংরক্ষিত নারী আসন থেকেও কেউ কেউ অথবা কেউ কেউ টেকনোক্র্যাট কোটায়ও (সংসদ সদস্য নন এমন) মন্ত্রীও হতে পারেন এমন আলোচনাও রয়েছে। তবে, দ্বিতীয় দফায় কারা মন্ত্রিসভায় স্থান পাবেন, সেটা আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড ছাড়া কেউ-ই জানেন না।
এ দিকে জানা গেছে, বিভিন্ন কারণে যারা বাদ পড়েছেন তাদের আর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার সুযোগ কম। মন্ত্রীসভার কলেবর বাড়লে নতুন করে স্থান পেতে পারেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী, অভিজ্ঞ ও তৃণমূলের জনপ্রিয় সংসদ সদস্যরা। সরকারের কাজের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিসভার আকার বড় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে আলোচনা অনেক দিন থেকেই ছিল। এক্ষেত্রে তরুণদের প্রাধান্য দেয়া হতে পারে।