• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে ঢাকায় আসছেন মার্কিন দূত রেনা বিটার শিক্ষক নিবন্ধন: এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে’ স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: রাষ্ট্রপতি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না আওয়ামী লীগ নেতারা শিক্ষা খাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশও স্যাংশন দেবে: প্রধানমন্ত্রী

একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি মোহাম্মদ রফিক মারা গেছেন

প্রজন্মের আলো / ২২ শেয়ার
Update সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩
কবি মোহাম্মদ রফিক । ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

আশির দশকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ যুগানো কবি মোহাম্মদ রফিক (৮০) মারা গেছেন। রোববার (৬ আগস্ট) উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল থেকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবির চাচাতো ভাই মো. শিবলী বলেন, তার মরদেহ বাগেরহাটে গ্রামের বাড়িতে নেয়া হচ্ছে। সোমবার (৭ আগস্ট) জানাজা শেষে পরিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হবে।

এর আগে বাগেরহাটের চিতলীতে নিজ বাড়িতে সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে কবিকে প্রথমে বাগেরহাট এবং পরে বরিশাল নেয়া হয়। বরিশালে অবস্থা গুরুতর হলে চিকিৎসকেরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। পরে রোববার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় পরিবারের সদস্যরা ঢাকা নিয়ে আসার পথেই মারা যান তিনি।

ষাটের দশকে ছাত্র আন্দোলন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে এবং স্বাধীন বাংলাদেশে আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে কাব্যিক রসদ জুগিয়ে বিখ্যাত হয়ে আছেন কবি মোহাম্মদ রফিক। তার জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার বেমরতা ইউনিয়নের চিতলী-বৈটপুর গ্রামে। একাধারে একজন কবি, লেখক ও শিক্ষক মোহাম্মদ রফিক আট ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। তিনি দুই ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৭০ সালে কবি মোহাম্মদ রফিকের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বৈশাখী পূর্ণিমা’ প্রকাশিত হয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশ পায় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ধুলার সংসারে এই মাটি’। কবির উল্লেখযোগ্য অন্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো- ‘কীর্তিনাশা’ (১৯৭৯), ‘খোলা কবিতা ও কপিলা’ (১৯৮৩), ‘গাওদিয়ায়’ (১৯৮৬), ‘স্বদেশী নিঃশ্বাস তুমিময়’ (১৯৮৮), ‘মেঘে এবং কাদায়’ (১৯৯১), ‘রূপকথা কিংবদন্তি’ (১৯৯৮), ‘মৎস্য গন্ধ্যা’ (১৯৯৯), ‘মাতি কিসকু’ (২০০০), ‘বিষখালি সন্ধ্যা’ (২০০৩), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৩), ‘কালাপানি’ (২০০৬), ‘নির্বাচিত কবিতা’ (২০০৭), ‘নোনাঝাউ’ (২০০৮), ‘দোমাটির মুখ’ (২০০৯), ‘ত্রয়ী’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-১’ (২০০৯), ‘মোহাম্মদ রফিক রচনাবলী-২’ (২০১০)।

মোহাম্মদ রফিক একুশে পদক ছাড়াও বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জেমকন সাহিত্য পুরস্কারসহ বিভিন্ন স্বীকৃতি ও পুরস্কার অর্জন করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories