• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু

কিডনি বিক্রি করে ২০ লাখে, ডোনারকে দেয় ৩ লাখ

প্রজন্মের আলো / ১২০ শেয়ার
Update মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১

প্রজন্মের আলো ডেস্ক:

প্রতারণার মাধ্যমে কিডনিসহ নানা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কয়েকটি চক্র। এসব চক্রের ফাঁদে প্রলুব্ধ হয়ে নিম্ন আয়ের মানুষ হারাচ্ছে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচার সংঘবদ্ধ চক্রের প্রধান মো. শাহরিয়ার ইমরানসহ ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবদের তারা জানায়, প্রতিটি ১৫-২০ লাখে বিক্রি করলেও ডোনারকে ৩-৪ লাখের বেশি দিত না।

গ্রেফতারকৃত চক্রের অন্য সদস্যরা হলো- মো. মেহেদী হাসান (২৪), মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), মো.আব্দুল মান্নান (৪৫) ও মো. তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৮)। সোমবার থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি পাসপোর্ট, ভিসা সম্পর্কিত বেশকিছু কাগজপত্র, পাঁচটি মোবাইল ও দেশি-বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কাওরান বাজারস্থ র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এই চক্রের সদস্য সংখ্যা ১৫-২০ জন। তারা তিনটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কিডনি ক্রয়-বিক্রয় করে থাকে। চক্রের প্রথম গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চক্রের দ্বিতীয় দলটি গরিব ও অভাবী মানুষদের কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য ডোনার হতে প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসে। পরে তৃতীয় দলটি ভুক্তভোগীদের ঢাকার বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিডনি প্রতিস্থাপন করা প্রয়োজন এমন রোগীর সঙ্গে ব্লাড ম্যাচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা সম্পন্ন করে। ব্লাড ম্যাচিং ও অন্যান্য ডায়াগনস্টিক টেস্টে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হলে পাসপোর্ট ও ভিসা করে ভুক্তভোগীকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানো হয়। পার্শ্ববর্তী দেশে অবস্থানকারী আরেকটি চক্র ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে নিয়ে অস্ত্রপচারসহ যাবতীয় কার্যক্রম শেষে দেশে ফেরত পাঠায়।

তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা এই চক্রের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতিটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তারা রোগীদের কাছ থেকে ১৫ হতে ২০ লাখ টাকা নিতো। বিপরীতে তারা কিডনিদাতাকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা দিত। কিডনি দেওয়ার পর ভুক্তভোগীকে প্রতিশ্রুতি টাকা না দিয়ে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাতো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories