অনলাইন ডেস্ক:
‘ব্ল্যাক রাইস’ বা ‘কালো চালের ধান’ চাষ করে সফল হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নের জওগাঁও গ্রামের আলমগীর হোসেন ।
জানা যায়, একসময় চীনে শাসকগোষ্ঠীদের প্রিয় খাবার ছিল ব্ল্যাক রাইস। শুধু তাদের জন্য গোপনে চাষ করা হতো এ ধান। প্রজাদের জন্য ব্ল্যাক রাইস চাষাবাদ ও খাওয়া নিষিদ্ধ করে শাসকরা। সেই থেকে এর নাম হয়ে যায় ‘নিষিদ্ধ ধান’।
ভালো ফলন পেয়ে খুশি আলমগীর বলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে এটি চাষাবাদ করি। এই চাল অনেক পুষ্টিকর এবং এর ভাত খেলে শরীরের ওজন বাড়ে না। আমি বিঘাপ্রতি ১৮ মণ ফলন পেয়েছি। যেহেতু এটি কালো চাল, তাই সামনেরবার আরও বেশি কর আবাদ করব বলে আশা করছি।
ব্ল্যাক রাইস বা কালো চাল ঠাকুরগাঁওয়ে প্রথম আবাদ হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা আসছেন চালের রং দেখতে। ব্ল্যাক রাইস দেখার পর ও তার পুষ্টির গুণাগুণের বর্ণনা শুনে সবাই আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
ব্ল্যাক রাইস বা কালো চাল ইতিমধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার কৃষকদের কাছে নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে। এটি সাধারণ ধানের মতোই চাষাবাদ করতে হয়। তবে তুলনামূলকভাবে রাসায়নিক সার, কীটনাশক কম লাগে, অতিরিক্ত পানির প্রয়োজনও হয় না।
রাণীশংকৈল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ জানান, ব্ল্যাক রাইসে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর থাকায় শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ত্বক পরিষ্কার করে ও শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে শরীরকে ফুরফুরে রাখে। এতে থাকা ফাইবার হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
তিনি বলেন, এই ধান ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ ও বার্ধক্য প্রতিরোধক। এতে ভিটামিন, ফাইবার ও মিনারেল রয়েছে। ব্ল্যাক চাল কিছু কোম্পানি প্যাকেটজাতের মাধ্যমে হাজার টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও স্থানীয়ভাবে কেজিপ্রতি ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে পারে। ব্ল্যাক রাইসে রয়েছে ১১টি পুষ্টিগুণ। আশা করা যায়, ব্ল্যাক রাইস চাষাবাদ করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন কৃষকরা।