• রবিবার, ১১ জুন ২০২৩, ০২:৫৯ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
বাধ্যতামূলক রিটার্ন দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও পাঁচটি সেবা যুক্ত হচ্ছে প্রবীণ রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান মারা গেছেন ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট কাউন্টারে বিক্রি শুরু ১৩ জুন সব বিভাগেই বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দর-উপকূলে সতর্কতা এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ১৭ আগস্ট অর্পিত সম্পত্তি লিজ দিতে পারবেন জেলা প্রশাসকরা: হাইকোর্ট মাধ্যমিকে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ বৃহস্পতিবার সংলাপ নিয়ে আমির হোসেন আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী অনিয়ম-প্রভাব সৃষ্টি করলে ভোট বন্ধ বৃষ্টি কবে হবে জানালো আবহাওয়া অফিস রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের বিকল্প নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘দেশে এমন কোনো সংকট নেই যে জাতিসংঘের মধ্যস্থতার প্রয়োজন’ তীব্র দাবদাহে এবার ইবতেদায়ি মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত ১২ গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৮৩২২

‘চীনের ঋণ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে’

প্রজন্মের আলো / ১০ শেয়ার
Update : রবিবার, ২১ মে, ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক:

চীনের ঋণ বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে। ঋণগ্রহণকারী এক ডজন দরিদ্র দেশ এখন অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখোমুখি। এ অবস্থায় শত শত বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণের জাঁতাকলে পড়েছে এসব দেশ।

এপির এক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, চীনের কাছে সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া পাকিস্তান, কেনিয়া, জাম্বিয়া, লাওস এবং মঙ্গোলিয়াসহ এক ডজনের মতো দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ, খাদ্য এবং জ্বালানির জন্য রাজস্বের একটি বড় অংশ খরচ করছে। এই দেশগুলোর ঋণের সুদ পরিশোধ করতে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও চলে যাচ্ছে। বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশগুলো তাদের বিদেশি ঋণের ৫০ ভাগ পর্যন্ত চীন থেকে নিয়েছে, তাদের বেশির ভাগেরই ঋণ পরিশোধের জন্য সরকারি রাজস্বের এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে জাম্বিয়া এবং শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যেই ঋণখেলাপি হয়ে গেছে। এমনকি বন্দর, খনি এবং বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণে অর্থায়নের জন্য ঋণের সুদও পরিশোধ করতে পারেনি। আর এর নেপথ্যে রয়েছে ঋণ মাফ করতে চীনের অনীহা এবং কত টাকা ঋণ দিয়েছে এবং কোন শর্তে ঋণ দিয়েছে, সে সম্পর্কে চরম গোপনীয়তা। যা অন্যান্য প্রধান ঋণদাতাদের সাহায্যের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পাকিস্তানে লাখ লাখ টেক্সটাইল শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়েছে। কারণ দেশটির অনেক বেশি বিদেশি ঋণ রয়েছে এবং বিদ্যুত্ চালু রাখা এবং মেশিনগুলো চালানোর সামর্থ্য নেই। কেনিয়ার সরকার বিদেশি ঋণ পরিশোধের জন্য নগদ সঞ্চয় করতে হাজার হাজার সরকারি কর্মচারীর বেতন আটকে রেখেছে। এক বছর আগে শ্রীলঙ্কা খেলাপি হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক চাকরি হারিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া দেশটির অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে, চীন যদি দরিদ্র দেশগুলোকে তার ঋণের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে আরো খেলাপি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। ইত্তেফাক


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories