আবুহেনা,নিজস্ব প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিকের কালো টাকায় প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ৮ জুন শনিবার গত ২৯ মে নির্বাচনে অংশ নেওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিকের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা আ’লীগ সাধারন সম্পাদক ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া প্রার্থী আক্কাছ আলী।লিখিত বক্তব্যে আক্কাছ আলী বলেন, নির্বাচনে এবাদুর রহমান প্রামানিক ব্যাপক অবৈধ কালো টাকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলার অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এবাদ নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘন করে মসজিদ, ঈদগাহ, মাদরাসা, গোরস্থানসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে ব্যাপক কালো টাকা প্রদানের মাধ্যমে ধর্মভীরু ভোটারদের প্রভাবিত করে নির্বাচনী ফলাফল তার পক্ষে নেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে তার সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করলে জাতপাড়া ঈদগাহ মাঠে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করলেও আর কোন বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। নির্বাচনে সকল প্রার্থীসহ ৭১ শতাংশ ভোটার কালো টাকায় বিতর্কিত নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে মর্মে পুন:নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানানো হয়।
এবাদুর রহমানের কালো টাকার প্রথাব হিসাবে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জাতপাড়া গ্রামে ঈদগাহ মাঠের জায়গা ভরাট বাবদ দুই লাখ টাকা, কয়সা গ্রামে ২ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা, জালুপোঁয়াতা মন্দিরে নগদ দের লাখ টাকা, পাইকড়া মন্দিরে নগদ দেড় লাখ টাকা, নগেন্দ্রনগর ঈদগাহ মাঠের বাউন্ডারি বাবদ ৫ হাজার ইট ও নগদ দুই লাখ টাকা এবং মাধাইমুড়ি মসজিদ ও মাদরাসায় ৫৫ হাজার টাকা দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। এবাদুর রহমান একজন বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় কেহ তার মুখের ভাষা বুঝতে না পারায় আত্রাইবাসীর চরম ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তার কালো টাকার মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানানোর অভিযোগ করা হয়। এসময় নির্বাচনের ধারা ৪ মতে একজন বাক প্রতিবন্ধী নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে অযোগ্য হওয়ার কথা থাকলেও স্কুটনিতে তার মনোনয়ন বৈধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
নির্বাচনে কালো টাকার প্রয়োগ, নির্বাচন ফলাফল পত্যাখ্যান এবং ভোটের এত দিন পর সাংবাদিক সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আক্কাছ আলী বলেন, কালো টাকার প্রমান সংগ্রহ, আমাদের মধ্যে আলোচনাসহ সকল কিছু গুছিয়ে নিতে দেরি হলো বলে জানান।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তার কালো টাকার উৎস, পাজেরো গাড়ী কিনে তা নির্বাচনী হলফ নামায় উল্লে না করার বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণসহ দুর্নীতি দমন কমিশনে যাওয়ার কথা জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান পলাশ, আলমগীর হোসেন বাবর, মমতাজ বেগম, সনৎ কুমার প্রামানিক, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আফছার আলী প্রামানিক, উপজেলা আ’লীগ সহসভাপতি চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল, নজরুল ইসলাম ,উপজেলা আ’লীগ যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লবসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in