নুরুজ্জামান লিটন :
নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুরের জমিদার বিনোদ কুমার লাহিড়ীর হাত ধরে বাংলাদেশ আসা বিখ্যাত আম“নাক ফজলি” ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বদলগাছীর “নাক ফজলি” আমের পরিচিতি ও চাহিদা বাড়বে বলে আশা করছেন সচেতন মহল।
মঙ্গলবার (৬ মে) বদলগাছী উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত ১ মে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী বদলগাছী উপজেলার “নাক ফজলি আম” চাষী সমবায় সমিতি লি. এর সভাপতি এ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর হোসেনের হাতে সনদ হস্তান্তর করেন।
তিনি আরো বলেন, বদলগাছীর “নাক ফজলি আমের” সুখ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু; যা অন্যান্য অঞ্চলের আম থেকে আলাদা হয়ে থাকে। এটি শুধু একটি সুস্বাদু ফল নয়, এ অঞ্চলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর স্বাদ,পুষ্টিগুণ এবং বহুমুখী ব্যবহার সারাদেশে পরিচিতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বদলগাছীর নাক ফজলি আমের পক্ষে জিআই নিবন্ধন পেতে পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন করেন। এরপর নওগাঁ জার্নাল নং ৫৬ প্রকাশিত হওয়ার পর বিধিবদ্ধ ২ মাস সময় অতিক্রান্ত হয়েছে। তৃতীয় কোন পক্ষ বিরোধিতার নোটিশ দাখিল করেননি। এমতাবস্থায়, ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের সনদ পায় নওগাঁর বদলগাছীর “নাক ফজলি আম”।
উল্লেখ্য যে,জিআই সনদ বলতে বোঝানো হয় Geographical Indication Certificate, অর্থাৎ ভৌগোলিক নির্দেশক সনদ।
এটি একটি আইনি সনদ যা কোনো নির্দিষ্ট পণ্যকে একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকা বা অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে। এই সনদের মাধ্যমে স্বীকৃতি দেওয়া হয় যে, ঐ পণ্যটির গুণমান, খ্যাতি বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলের কারণে তৈরি হয়েছে এবং এটি ঐ এলাকার একটি বিশেষ ঐতিহ্য বা পরিচিতি বহন করে।