• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না: জাতিসংঘ অবন্তিকার মৃত্যু; সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে আরও জলদস্যু উঠেছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১০ বিশিষ্টজন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ গাজায় ইফতারের লাইনে দাঁড়ানো মানুষের উপর গুলি, নিহত ৬ শান্ত-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় জাহাজ অপহরণ ৫০ লাখ ডলার দাবি জলদস্যুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ হাইকোর্টের রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ডিজিটাল আইনে তাৎক্ষণিকভাবে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার নয়: আইনমন্ত্রী

প্রজন্মের আলো / ১২১ শেয়ার
Update শুক্রবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১
ফাইল ফটো সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক:

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হলে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তার বিরুদ্ধে সমন জারি করতে হবে। মামলার পর সাংবাদিক আদালতে জামিন আবেদনের সুযোগ পাবেন।

ওভারসিজ করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ওকাব) আয়োজিত ‘মিট দ্য ওকাব’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন ।  বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ওকাব।

আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হলে, তা তাৎক্ষণিকভাবে ‘আইসিটি অ্যাক্ট ২০০৬’ এর একটি সেলের কাছে চলে যাবে। সেই সেল তদন্ত করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হওয়ার মতো উপাদান পেলে মামলাটি নেওয়া হবে। অফিস আদেশ না দেওয়া হলেও এ সংক্রান্ত নির্দেশনা থানাগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কিছুটা অপব্যবহার ও কিছুটা দুর্ব্যবহার হয়েছে বলে স্বীকার করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এর কারণে একটা ধারণা জন্মেছে যে এই আইন বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রোধের উদ্দেশ্যে প্রণীত হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এর কোনোটাকেই বন্ধ বা বাদ দেওয়ার জন্য এই আইন করা হয়নি।

ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা দুজনে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন যদি কোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, তাৎক্ষণিক সেই মামলা আদালতে গ্রহণ করে আদালত এর প্রসিডিউর শুরু করবেন না। আরেকটা আইন আছে আইসিটি অ্যাক্ট ২০০৬, সেখানে একটি সেল আছে, যারা তদন্ত করতে পারে যে মামলা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয় কিনা। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে মামলা হবে, তাৎক্ষণিকভাবে সেটা সেই সেলে যাবে। সেই সেলের তদন্তের পর যদি সাব্যস্ত হয় এই যে হ্যাঁ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপরাধে নালিশ করা হয়েছে, তাতে সেই অপরাধের ইনগ্রেডিয়েন্টস (উপাদান) এই নালিশের মধ্যে আছে, তাইলেই মামলাটা নেওয়া হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর আরেকটি বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এ রকম মামলা করলে একজন সাংবাদিককে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা যাবে না। তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করার যে ধারণা, তা এই ধারণাকে (বাক্‌ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার রোধ) জ্বালানি দিচ্ছে। সে জন্যই তাৎক্ষণিক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা যাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত সম্পন্ন না হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ থাকলেও একজন সাংবাদিককে কারাগারে নেওয়া যাবে না। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন, গত ছয় মাসে এ রকম ঘটনা খুব একটা ঘটেনি।

অফিস আদেশ জারি করার বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, এ নির্দেশনা আমরা নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে দিতে পারি না। যেটা করা হচ্ছে, তা হলো পুলিশ যেখানে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রাখে, সেখানে ইন্টারনালি প্রতিটি থানাতে এ রকম জানানো হয়েছে বলে আমার কাছে খবর আছে।

এক সাংবাদিক এ সময় প্রশ্ন করেন, এ জন্যই কি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিবর্তে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছিল? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে অপরাধ না করেন, তাঁর বিরুদ্ধে কি এই আইনে মামলা হবে? রোজিনা নিশ্চয় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপরাধ করেননি। সে জন্যই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট তাঁর ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়নি।’

সেই সাংবাদিক আবার প্রশ্ন করেন, কিন্তু আমরা তো প্রথমে শুনেছিলাম, রোজিনা ইসলাম ছবি তুলছিলেন। সেটা ডিজিটাল ফরমেটে এসেছে। এ কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পরে শোনা যায়, আইন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রেসস্ক্রিপশনের কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে না করে অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories