themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114অনলাইন ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তরুণ প্রজন্মদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাত করণের দিকেও নজর দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সরকার। দেশের শিল্পখাতে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি কৃষির ওপর গুরুত্ব দিই, আলাদা বাজেট রাখি। সে সময় প্রথম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০৯ আবার ক্ষমতায় এসে দেখি দেশ খাদ্য সংকটে। এখানে নীতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, যেদিন আমি সংসদে বলেছিলাম দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তখন বিরোধী দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমি উঠে বললাম, কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে ২০১০ থেকে ২০২১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করেছি। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হবো।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। একসময় এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাই বড় হবে। তারা উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানান পণ্য উৎপাদন হয়। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে বাজারজাত করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। নিজের দেশের চাহিদা বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পদ্মার ওপারে বিশাল কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেখানে এসএমই উদ্যোক্তারা কাজ করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘করোনা মাহমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন আবার যুক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলা। এসবের ফলে নানান সংকটে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। আমরা সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এখানে দেখছি উদ্যোক্তাদের ৬০ ভাগ নারী। এটা দেখে আমি খুব খুশি। কারণ একটা দেশের বড় অংশকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। তাদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। উভয়ে সমান তালে এগোলো দেশ এগোবে। পুরুষরাও চাইলে স্ত্রী, মায়ের নামে উদ্যোগ নিয়ে এসএমই ঋণের সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ তারা নিজের নামে তো ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন না। নারীদের নামে করলে পাবেন। আমি বলবো, পুরুষরা চাইলে সে সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ আমরা চাই, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বাড়ুক।’
তিনি বলেন, ‘মানুষের কর্মক্ষমতা ও উদ্যম কাজে লাগাতে পারলে তারা সোনার মানুষ হবে। এরাই সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবে। আমরা এরই মধ্যে ১০০টা ইকোনমিক জোন করেছি। শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশি বিনিয়োগও চাই। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ইকানমিক জোনে জায়গা নিয়ে কাজ করতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদুর রহমানসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।
বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। পরে অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার- ২০২৩ পেয়েছেন ৭ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।