সন্তোষ কুমার সাহা:
চলতি মৌসুমে অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের শিম চাষ করেছেন কৃষক আমিনুল ইসলাম। আবহাওয়া ও জমি চাষ করার উপযোগী হওয়ার কারনে শিমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও বাজারে দাম ভালো থাকায় শখ করে শিম চাষে বাজিমাত করেছেন।
আমিনুল ইসলাম নওগাঁর ধামইরহাটের ৬ নম্বর জাহানপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মুকুন্দপুরের বাসিন্দা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আমিনুল ইসলামের চাষ করা ২০ শতাংশ জমির আনাচে কানাচে শিমের ফুলে ভরে গেছে। থোকায় থোকায় পরিপুষ্ঠ শিমে ভরা গাছ।
তিনি বলেন, ‘শখের বশে মাত্র ২০ শতাংশ জমি বর্গা নেই। এরপর শ্রাবণ মাসের শেষে ওই জমিতে শীতকালীন আগাম জাতের শিম লাগাই। ভালো ফলনের জন্য রাত দিন গাছের যত্ন নিয়েছি।নিয়েছি কৃষি অফিসের পরামর্শ। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাগানজুড়ে শিম গাছে ফুল এসেছে। এসেছে কাঙ্ক্ষিত ফসল।’
তিনি আরো জানান, শিম চাষে লেবার খরচ, সুতা, জমিতে সেচ, সার ও বিষসহ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়েছে। সঠিক পরিচর্যার ফলে এখন তিনি ওই বাগান থেকে সপ্তাহে দুইবার ৪ মণ করে প্রায় ৮ মণ শিম গাছ থেকে নামিয়ে বাজারে বিক্রি করছেন। বর্তমানে যার বাজার মূল্য আট হাজার টাকা। এই আগাম জাতীয় শিম চাষ করে তিনি এখন স্বাবলম্বী।
আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘বর্তমানে সবজির বাজার দর ভালো। বাজারে সবজির দাম এই রকম থাকলে এবং আবহাওয়া ভালো থাকলে বাগান থেকে আরো বেশি লাভ পাবো বলে আশা করি। আমার দেখে এলাকায় এখন অনেকেই শিম চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ শাপলা খাতুন জানান, উপজেলার ইসবপুর ও জাহানপুর দুই ইউনিয়নের মাটি খুবই উর্বর। তাই এখানকার কৃষকদের সবজি বাগান গড়ে তোলার পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষি অফিসের পরামর্শে এখন ওইসব এলাকায় ব্যাপক সবজি চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আগাম জাতের শিম এলাকার চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হচ্ছে।