খন্দকার আবু রায়হান:
“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁয় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে উদযাপিত হচ্ছে তারুণ্যের উৎসব।
এই উৎসবের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা মেধাবীদের খুজে বের করার চেস্টা করা হচ্ছে। নওগাঁতেও উৎসব উপলক্ষে জেলা স্টেডিয়ামে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট (অনুর্ধ্ব-১৭) বালক-বালিকা, ক্রিকেট, ভলিবল, কাবাডি ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। গত ১৫জানুয়ারী থেকে শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় জেলার ১১টি উপজেলা ও নওগাঁ পৌর সভাসহ মোট ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। গত বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোড়িতার চূড়ান্ত খেলায় ফুটবল বিভাগে বালক পর্যায়ে ধামইরহাট উপজেলা দল ২-০ গোলে নওগাঁ পৌরসভা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে বালিকা পর্যায়ে বদলগাছি উপজেলা দল ৩-১ গোলে ধামইরহাট উপজেলা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।
এদিন বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার ছয়টি বিভাগে অংশগ্রহণকারী সেরা খেলোয়ারদের হাতে এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মাঝে ট্রপি তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: মুনির আলী আকন্দ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়ার এনামুল হক প্রমুখ। পরে সন্ধ্যায় সদর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জেলা প্রমাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন আমাদের দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের আনাচে-কানাচে অনেক মেধাবী খেলোয়াররা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। তারা উপযুক্ত পরিবেশ না পাওয়ার কারণে নিজেদের মেধাকে ছড়িয়ে দিতে পারছে না। তাদের খুজে বের আনার লক্ষ্য নিয়েই সরকার দেশজুড়ে তারুণ্যের উৎসব উদযাপন করছে। তরুণদের হাতেই বিজয়ের নিশান তাই আগামীর বাংলাদেশের জন্য একটি সুস্থ্য, সুন্দর, সবল ও মেধাবী জাতি পেতে হলে বর্তমান প্রজন্মকে খেলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। নিয়মিত খেলাধুলার চর্চাই পারে একজন শিক্ষার্থীকে অলরাউন্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে। শরীর সুস্থ্য থাকলে মন সুস্থ্য থাকবে আর যখন শরীর-মন দুটোই সুস্থ্য থাকবে তখন সকল কাজে একজন শিক্ষার্থী শতভাগ সফল হবে। আর এর জন্য পড়ালেখার পাশাপাশি নিয়মিত বেশি বেশি খেলাধুলার চর্চা করতে শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানান জেলা প্রশাসক। আগামীতেও এই ধরণের আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানান তিনি।