পারভেজ গাদ্দাফী:
নওগাঁয় পুলিশের মিথ্যা মামলা থেকে বিএনপি’র ৫৮ জন নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওগাঁ-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম। গত ১৮ ডিসেম্বর ধায্যতারিখে মামলার সকলকে অব্যাহতি প্রদান করেন তিনি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ২০১৭ সালে ৫ জানুয়ারী গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে মুক্তির মোড় বিএনপির শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা বহনকারী মিছিলে পুলিশ বাধা প্রদান করে এবং বিএনপি নেতা, কর্মী, সমর্থকদের উপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পুলিশ বিএনপি’র ব্যানার,পোস্টার,লিফলেট ছিরে ফেলে। বিএনপির নেতা কর্মীদের অন্যায় ভাবে মারধর করে আহত করে। মিছিল থেকে কয়েকজন আহত নেতাকর্মীদের ধরে নিয়ে গিয়ে এবং অজ্ঞাত কয়েকশো নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে নওগাঁ সদর থানার মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
নওগাঁ জেলার বিভিন্ন থানা থেকে বিএনপি কর্মী,সমর্থক, পরিবারের লোকজনকে ধরে নিয়ে মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। রাজনীতি না করেও বিএনপি পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে অনেক ছাত্রকে মামলায় গ্রেফতার করা হয়। ছাত্র, নারী,বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি কাউকেই বাদ দেয়নি তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী পুলিশ বাহিনী। সূত্র মতে এ মামলার রায় অনেক আগেই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ফ্যাসিস্ট পুলিশের কারণে বিচারকের মামলার রায় দিতে দেরি হয়। বিবাদীর পক্ষে কথা বলেন, অ্যাডভোকেট মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সাক্ষীর কোন কথার সাথে নথির কোন কথার মিল নাই। তাদের জোর করে সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। তারা আসামিদের চেনেন না আসামিরাও তাদের চেনে না। পুলিশ ইচ্ছে করেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ফাঁসানোর জন্য এই মামলা সাজিয়েছে। বাদীপক্ষে পিপি অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান (৩)কোন কথা না বলায় সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নওগাঁ-১ এর বিচারক রবিউল ইসলাম ১৮ ডিসেম্বর তারিখে মামলার সকল বিবাদীকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
দীর্ঘ সাত বছর পর এই মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ায় বিএনপি’র সদস্য সচিব বায়েজিদ হোসেন পলাশ বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার আমাদের আছে কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকার আমাদের মত প্রকাশে বাধা প্রদান করেছে। আমরা মিছিল মিটিং কোন ধরণের দলীয় কার্যক্রম করতে পারিনি। সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করতে পারেনি। নির্মমভাবে বিএনপি নেতা কর্মীর আটক করে শত শত মামলা দিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার। বিএনপি’র ছাত্রদল নেতা শহীদুল ইসলাম সোহাগ বলেন,বিএনপির বিরুদ্ধে কয়েক লক্ষ মিথ্যা মামলা আছে।সেসব মামলা অতি দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে।গণতন্ত্রের পক্ষে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশে পূর্ণ গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা না হবে,ততদিন পর্যন্ত আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবো।