তাহেরা এনায়েত করিম:
“জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারিত্ব প্রত্যাহার করা হোক” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে মানববন্ধন ও আলোচনা সভার মাধ্যমে ৯ অক্টোবর জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে নওগাঁর উকিলপাড়াস্থ ন্যাশনাল মডেল স্কুল মিরনায়তনে প্রজন্ম মানবিক অধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র এর উদ্যোগে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট, সাপ্তাহিক প্রজন্মরে আলো ও প্রজন্মের মেলার সহযোগিতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা ব্রিটিশ-আমেরিকান ট্যোবাকো’ কোম্পানীতে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ বাংলাদেশ সরকারের যে শেয়ার রয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবী জানান। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অবিলম্বে ক্ষতিকর এই খাত থেকে সরকারের বিনিয়োগ প্রত্যাহার করা উচিৎ।
এ ছাড়া কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদে সরকারের উচ্চপদস্থ কয়েকজন রয়েছেন। তামাক কোম্পানিতে সরকারের অংশীদারত্বের সুযোগে কোম্পানিগুলোর জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপে হস্তক্ষেপ করা সহজ হয়েছে। এতে জনস্বাস্থ্য ক্ষতির মুখে পড়ছে। তারা এসব ব্যবসা থেকে সরকারের অংশীদারত্বের প্রত্যাহারের দাবি জানান।
আলোচনা সভায় জানানো হয়,দেশে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ তামাক। অসংক্রামক রোগে প্রতিবছর ৫ লাখ ৭২ হাজার মানুষ মারা যায়। এর মধ্যে শুধু তামাকজনিত রোগের কারণে মারা যায় ১ লাখ ২৬ হাজার। তাই এ খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখে ২০৩০ সালের মধ্যে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়। এছাড়াও তামাক খাতে সরকারের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। তামাকজনিত রোগে চিকিৎসা ব্যয় ৩০ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। অথচ তার বিপরীতে রাজস্ব আয় ২২ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। তাই এ রকম ক্ষতিকর ও অলাভজনক খাতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা সম্পূর্ণরূপে অযৌক্তিক। অবিলম্বে ক্ষতিকর ও অলাভজনক তামাক খাত থেকে সরকারেরশেয়ার প্রত্যাহার করার জোর দাবী জানান বক্তারা।