• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের তারিখ জানাল সৌদি আরব

নওগাঁয় বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ

প্রজন্মের আলো / ১০৭ শেয়ার
Update মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২১

প্রজন্মের আলো ডেস্ক:

নওগাঁর হাসপাতালে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে। এতে ২৫০ শয্যার নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগীর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রতিদিন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মেডিসিন নারী ওয়ার্ডের ২৬ বেডের জায়গায় ভর্তি আছেন ৩১ রোগী। মেডিসিন পুরুষ ওয়ার্ডের ২৭ বেডে ভর্তি আছেন ২২ রোগী। এর মধ্যে শনিবার সকালে ভর্তি হয়েছেন আটজন। গাইনি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এখানে বেড সংখ্যা ১৫টি। বর্তমানে রোগী ভর্তি আছেন ১৭ জন।

অপরদিকে শিশু ওয়ার্ডে ১৫টি বেড থাকলেও ১৫-১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৯ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। গড়ে প্রতিদিন ১৮-২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে। হাসপাতালে বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে রোগীরা। রোগীদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নার্সরা।

সদর উপজেলার ইকড়তাড়া গ্রামের গৃহবধূ সখিনা বিবি বলেন, দেড় মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে এসেছি। তার নিউমোনিয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। এখন বাচ্চা অনেকটা ভালো আছে। হাসপাতাল থেকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তবে বেড পাইনি।

মহাদেবপুর উপজেলার বক চত্বর এলাকার বাসিন্দা কমেলা বিবি বলেন, হঠাৎ করেই আমার চার মাস বয়সী বাচ্চাটির কাশি শুরু হয়। এরপর থেমে থেমে বমি ও জ্বর আসে। শুক্রবার রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শিশু ওয়ার্ডের ইনচার্জ মৌসুমি আক্তার বলেন, শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ১৫ টি। গত ১৫-১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৮৯ জন শিশু রোগী ভতি হয়েছে। রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা কম থাকায় মেঝেতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গাইনি ওয়ার্ডের ইনচার্জ শিরিনা আক্তার বলেন, গাইনি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন ভর্তি হচ্ছে। আগের তুলনায় রোগী বাড়ছে। নার্স সংখ্যা কম হওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

নওগাঁ জেনারেল হাসপতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আনসার আলী বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ মজুত রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories