সংবাদদাতা:
নওগাঁ সরকারি কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থী রিফাত এর ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার দুপুরে কলেজের কলা ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে শাহরিয়া শিশির বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল হক ও সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিদ্যুতের অপসারনের দাবীতে অবস্থান নেয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বী ও আরমান হোসেন সহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় কলেজে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন । নওগাঁ সরকারি কলেজের ডিগ্রী (পাস) কোর্স এর শিক্ষার্থী শাহরিয়া শিশির। তিনি নওগাঁ শহরের দয়ালের মোড়ের বাসীন্দা। নওগাঁ জেলা ছাত্রদলের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলো।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গনে রিফাতকে দেখে কথা আছে বলে শাহরিয়া শিশির তাকে মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে শাহরিয়া শিশির ও মারুফ সহ কয়েক এলোপাতাড়ি মারপিট করে। মারপিট শেষে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় পাশেই অবস্থান করছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল হক ও সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিদ্যুত। তাকে বাঁচানোর জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ঘটনার পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাহরিয়া শিশির এর বিচারের দাবীতে স্বোচ্চার হয়ে উঠে।
এদিকে নওগাঁ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের পক্ষ থেকে শনিবার বিবৃতি দেয়া হয়েছে এ ঘটনার সাথে তাদের কোন ধরণের সম্পৃক্তা নেই। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি ফজলে রাব্বী বলেন- ছাত্রদলের নাম ভাঙিয়ে আওয়ামী লীগ এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দেয়া যাবে না। এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। তারা সুযোগ খুঁজছে। আমরা তাদের সে সুযোগ দিবো না। আমার সামনে শিক্ষার্থী রিফাতকে মারধর করা হয়েছে। পাশে অধ্যক্ষ সামসুল হক ও সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিদ্যুত ছিলেন। এখন তারা বার বার শাহরিয়া শিশিরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। আমরা এ ঘটনার বিচার দাবী করছি। সেই সাথে অধ্যক্ষ সামসুল হক ও সহকারী অধ্যাপক মনিরুজ্জামান বিদ্যুতের অপসারণ দাবী করছি। যদি এ ঘটনার বিচার না হয় আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো। এ বিষয়ে শাহরিয়া শিশিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সোহাগ বলেন, শাহরিয়া শিশির আগে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাথে যুক্ত ছিল। বর্তমানে হয়তো নিজেকে ছাত্রদল দাবি করছেন। শিক্ষার্থীর উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল হক বলেন- পাশেই বহিরাগতদের দুই পক্ষের মারপিট হচ্ছিল। কি বিষয়ে নিয়ে এর মারপিট হচ্ছিল আমার জানা নেই। যেহেতু শিক্ষার্থীরা আমাকে এই কলেজে চাইনা যদি অন্যত্র বদলি হয় আমি চলে যাবো। এর বেশি আর কিছু বলার নাই।