অনলাইন ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘এটা সত্য যে নির্বাচনব্যবস্থার প্রতি মানুষের যে আস্থা সেটি ছিল না। পরবর্তিত পরিস্থিতির পর সেই আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। যাতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে সেটা নিশ্চিত করা হবে।’
রোববার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে তথ্য সংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, ‘ইতোপূর্বে ভোটার তালিকার তথ্য নানা সমালোচনা ছিল। এ বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি নির্ভুলভাবে তথ্য সংগ্রহ কাজ করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারী ২০০৮ এর পূর্বে তারাই এ ভোটার তালিকা হালনাগাদে তথ্য দিয়ে ভোটার হতে পারবেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে সুপারভাইজার ও তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রত্যকে জন্মসনদ, মাতা-পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি বা মৃত হলে মৃত্যু সনদ, শিক্ষা সনদের ফটোকপি, ওয়ারিশ সনদ, খতিয়ানের ফটোকপি, বিদ্যুৎ বিল, ট্যাক্স রশিদ, বিবাহিত হলে কাবিননামা, প্রবাসী হলে পাসপোর্ট ও ভিসার ফটোকপি, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক নাগরিকত্ব সনদ ইত্যাদি প্রমাণাদি সরবরাহ করতে হবে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ একটি রাজনৈতিক ঐক্যমত প্রক্রিয়ার বিষয়। নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। তফসিল ঘোষণা পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলে তখন সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এসময় জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল, পুলিশ সুপার সফিউল সারোয়ার, নির্বাচন কমিশনারের একান্ত সচিব জাকির হাসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোতালেবসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।