পরমাণু বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে ইরান, ইসরায়েলের ঘুম হারাম!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি চালানোর দাবি করা ইরান আণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধের পরিসংখ্যান দিয়ে দেশটি বলছে, যেকোনো সময় পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সক্ষম হবে তেহরান।
বিবিসি জানায়, ইরানের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ ২৫ কেজি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে তারা। ২০ শতাংশ বিশুদ্ধ আরো ২১০ কেজির বেশি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ রয়েছে। পরমাণু বোমা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের খুব কাছাকাছি এটি।
ইরানি বিশেষজ্ঞরাও এর আগে স্বীকার করেছেন, তাদের কাছে যে উচ্চ ক্ষমতাসমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, তা কেবল পারমাণবিক অস্ত্রধর দেশগুলোর কাছেই আছে। ইসরায়েলি এক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞও বলছেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপযুক্ত উপাদান তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে তেহরান, যা অতীতে কল্পনাও করেনি কেউ।
তেহরান চাইলে এক মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জমা করতে পারে বলে মনে করে তেল আবিব। প্রতিদ্বন্দ্বীর এই সক্ষমতা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখছে ইসরায়েল। সে কারণে যেকোনো মূল্যে দ্রুত ইরানের পরমাণু কার্যক্রম আটকাতে চায় দেশটি।
এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে ‘শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়ে আসা তেল আবিব সম্প্রতি লোহিত সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সঙ্গে মহড়া দিয়েছে। চার দেশের ওই হমড়ায় আরো যুক্ত ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের নৌবাহিনীও। তার আগে আরেকটি বিমান মহড়া হয় ইসরায়েলের একটি ঘাঁটিতে, তাতে আরো ৭টি দেশ অংশ নেয়।
এসব মহড়ার মাধ্যমে ইরানকে কড়া সতর্কবার্তা দেয়া এবং কৌশলগত সামরিক জোটের বিষয়টি স্পষ্ট করে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রধান মিত্র ইসরায়েল। দেশটির রাজনৈতিক ও সামরিক নেতারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে সম্ভাব্য হামলার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা। এমনকি সেজন্য ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দও দেয়া হয়েছে।
তবে সাবেক ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ইয়াকভ আমিদ্রর বলছেন, কোনো প্রচেষ্টাই পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ থেকে ইরানকে আটকাতে পারবে না। সময় ক্ষেপণ করতে তারা নতুন করে আলোচনায় বসার ঘোষণা দিয়েছে। তাই বিলম্ব না করে ১৯৮১ সালে ইরাকে ও ২০০৭ সালে সিরিয়ায় যেভাবে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক চুল্লি ধ্বংস করা হয়, সেভাবে ইরানের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে হবে।