রিয়া মনি/বৃষ্টি:
বর্ষায় যদি ফল খেতেই হয়, তাহেল পেয়ারার জুড়ি নেই। কিন্তু সেই পেয়ারা একটানা খেতে গেলেও তো বিরক্তি আসতে পারে। তাই বৈচিত্র্য আনা প্রয়োজন পেয়ারা প্রস্তুতে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে পেয়ারাকে প্রস্তুত করে নেবেন:
পেয়ারার সালাদ
কাঁচা পেয়ারা অনেকেই খেতে রাজি হন না। ছোট ছোট পেয়ারাগুলো তেমন খেতে ভালো লাগে না। সেক্ষেত্রে ঝাল ঝাল করে পেয়ারার সালাদ করে নিন। কাসুন্দি, মরিচ আর লবণ মাখিয়ে কাঁচা পেয়ারা খেলে ভ্যাপসা গরমে বেশ লাগে।
কাঁচা পেয়ারা অনেকেই খেতে রাজি হন না, খেতে পারেন সালাদ করে
দেশি পেয়ারার কুলফি
বাজারে দেশি লাল পেয়ারা দেখেছেন তো অবশ্যই? অথবা মিষ্টি নরম পেয়ারা দিয়ে সহজেই কুলফি বানিয়ে নেওয়া যায়। সেজন্যে ব্লেন্ডারে পেয়ারা ব্লেন্ড করে নিন। ছাকনী দিয়ে ছেঁকে একটি মোল্ডে রস ঢেলে নিন। অবশেষে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। বরফ হতেই বের করে আনুন।
আচার
বাঙালি ঘরে চাটনি বা আচারের কদর অনেক। কাঁচা পেয়ারা দিয়ে বানানো আচারের বিশেষ আবেদন আছে। সামান্য কিছু উপাদান ব্যবহারেই কাঁচা পেয়ারার আচার করে নেয়া যায়। কাঁচামরিচ, মরিচের গুড়ো, জিরা, লেবুর রস, পেয়ারা দিয়ে সহজেই আচার বানানো যায়। যেকোনো কাবাব বা ভাজাপোড়ার সাথে এই আচার জমে। বিশেষত বৃষ্টির দিন হলে তো কথাই নেই।
জ্যাম বা মোরব্বা
পেয়ারার জেলি কিংবা মোরব্বাও পেয়ারার সদ্ব্যবহারের সেরা উপায়। বিশেষত পেয়ারা দিয়ে জ্যাম বানানো বেশি সহজ কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও পেকটিন পাওয়া যায়।
কেক কিংবা পেস্ট্রি
ঘরে ভ্যানিলা কেকের ফিলিং এ পেয়ারা দেওয়া যায়। একথা শুনে নাক সিটকোনোর কিছু নেই। পেয়ারার জ্যাম ফিলিং হিসেবে দারুণ।
পেয়ারার জ্যাম বেশ সুস্বাদু
জুস
জুস কিংবা স্মুদি হিসেবেও পেয়ারার আবেদন আছে। এই ফলে প্রচুর চিনি আছে বিধায় আলাদা করে চিনি দেওয়ার অতটাও প্রয়োজন হয়না। তাই স্বাস্থ্যসচেতনরা পেয়ারার জুস কিংবা স্মুদিকে প্রাধান্য দেন।
বারবিকিউ সস
বারবিকিউ সস বানাতে ফলের ব্যবহার নতুন কিছু না। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত বারবিকিউ সসে আম কিংবা পিচ ব্যবহার করা হয়। আর আম কিংবা পিচের বদলে পেয়ারা ব্যবহার করলে তা বারবিকিউ সসের ফ্লেভার আরও বাড়ায়।