রায়হান কবির:
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক হাসিবুর রহমানের একটি টিকটক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
উদ্দেশ্যমূলক ভাবে প্রক্টরের পুরাতন ভিডিও ভাইরাল করায় শিক্ষার্থীরা ঘটনার তীর্ব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।
জানা গেছে,পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃহাসিবুল রহমান। গত ২৮ জুন রেজিস্ট্রার অফিসের এক আদেশ পত্রে ১জুলাই থেকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ হাসিবুর রহমান কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এর আগে তিনি ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে খুব সুনামের সাথে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে আসছেন।
নতুন প্রক্টর নিয়োগের খবর শোনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি টিকটক ভিডিও ভাইরাল হয়। এই নিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটি আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এ নিয়ে আলোচনা বা সংবাদ প্রকাশের কিছু নেই। যারা এসব করছেন, তারা তাদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য এমনটি করছেন। তবে এসব করে কোনো লাভ নেই। কারণ এ নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ভিডিওটি নিয়ে অনেক পোর্টাল নিউজ করেছে। কিন্তু ভিডিওতে আমার সঙ্গে যাকে দেখা গেছে, তিনি যে আমার স্ত্রী সে বিষয়টি কেউ লেখেননি। এ বিষয়ে কেউ জানতেও চাননি।
ভিডিও ভাইরাল হওয়াতে শিক্ষার্থীদের মাঝে তিব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা তাদের প্রতিবাদী ভাষা তুলে ধরেছে।মেহেদী হাসান বলেন, কিছু নিকৃষ্ট মানসিকতার মানুষ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এহেন কাজ গুলো করছে, অন্যকে ইন্ধন দিচ্ছে। সেই সকল মানুষ গুলো সর্বদা ঘৃণিত ই থাকবে, কখনোই সম্মানিত হবে না। তানভির আহম্মেদ আকাশ বলেন,এটা একদমই ব্যাক্তিগত ব্যাপার।এটা নিয়ে এত মাতামাতি করার কিছু দেখি না। তাহিয়াতুল রহমান বলেন, কিছু সাংবাদিক বুঝিয়ে দেয়, দেশে সব সাংবাদিক মারা গেছে। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে নিউজ করা কতটা নিম্নমানের কাজ, তারা ভুলে গেছে। আসফাকুর রহমান বলেন, স্যার নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন। এতে করে কিছু মহলের গায়ে জ্বালা। তার ব্যাক্তিগত বিষয় টেনে হেনস্তা করছে আরকি। অথচ এগুলো সব মিছে তাদের কোন পরিকল্পনা কাজে আসবে নাহ্। শ্রদ্ধেয় হাসিব স্যারের যোগ্যতা আমরা জানি, সুতরাং উল্টা পাল্টা বলে গলা ফাটালেও লাভ হবে না।
এছাড়াও অনেকেই তাদের প্রতিবাদী ভাষা তুলে ধরেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রসঙ্গত এটি তিন বছর আগের একটি ভিডিও। বিবাহবার্ষিকীতে স্ত্রীর অনুরোধে ভিডিওটি ধারন করেন প্রক্টর ড. হাসিবুর রহমান।