অনলাইন ডেস্ক:
সকাল থেকে বৃষ্টিবিঘ্নিত ছিল ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ড। বল মাঠে গড়াবে কিনা সেটা নিয়ে শঙ্কা ছিল। ধারণা ছিল প্রথম ওয়ানডের মতো ভেসে যাবে দ্বিতীয় ম্যাচও। তবে শঙ্কা উড়িয়ে ৫০ ওভারের খেলা গড়ায় ৪৫ ওভারে। এদিন শুরুতে জোড়া উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আইরিশরা। এরপর মিডল অর্ডারে হ্যারি টেক্টরের ক্যারিয়ারসেরা ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে আইরিশদের সংগ্রহ ছাড়ায় তিন’শ রানের কোটা। আয়ারল্যান্ড থামে ৩১৯ রানে।
শুক্রবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট খরচায় আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৩১৯ রান। ফলে টাইগারদের জয়ের জন্য ৩২০ রানের পাহাড় টপকাতে হবে।
চেমসফোর্ড টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুর ওভারেই ধাক্কা খায় আইরিশরা। প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালের সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করেন হাসান মাহমুদ। ইনিংসের পঞ্চম বলে পল স্টারর্লিংকে শূন্য রানে ফেরান হাসান। আয়ারল্যান্ডের দলীয় ১৬ রানের মাথায় আবার আঘাত হানেন বাংলাদেশের উদীয়মান পেসার। এবার আরেক ওপেনার স্টিফেন ডোহানিকে ব্যক্তিগত ১২ রানে ফেরান তিনি। তার জোড়া আঘাতের পর অবশ্য ভালোই খেলতে থাকে আইরিশরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যান্ড্রু বালবির্নিকে নিয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন হ্যারি ট্যাক্টর।
অধিনায়ক বালবির্নিকে ৪২ রানে ফিরিয়ে জুটিটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। অধিনায়ককে ফেরানোর পর লোরকান টাকারকেও দ্রুত ফেরান বাঁ হাতি পেসার। দুই পেসারের জোড়া আঘাতের পর বাংলাদেশকে পঞ্চম উইকেট এনে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। অলরাউন্ডার কার্টিস ক্যাম্ফারকে ৮ রানে আউট করেছেন এই স্পিনার।
তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ট্যাক্টর। ক্যারিয়ারের চতুর্থ হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তাঁর প্রথম। ৯৩ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। দলের ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১১৩ বলে ১৪০ রান করেন তিনি। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৭ চারের বিপরীতে ১০ ছক্কায়। সেঞ্চুরি করার পথে ষষ্ঠ উইকেটে জর্জ ডকরেলের সঙ্গে ১১৫ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন এই আইরিশ ব্যাটার।
তবে দলীয় ২৮২ রানের মাথায় বিদায় নেন টেক্টর। এরপর বাকি কাজটুকু মার্ক এডেয়ারকে নিয়ে সামলান ডকরেল। এই ব্যাটার ৪৭ বলে ৭৪ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলেন। এডেয়ার করেন ৮ বলে ২০ রান। ফলে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান করে আইরিশরা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ ও শরীফুল ইসলাম। এছাড়া একটি করে উইকেট পান তাইজুল ইসলাম ও এবাদত হোসেন।