অনলাইন ডেস্ক:
২০২১ সালের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত ১৫ লেখককে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন, মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা প্রমুখ।
পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন— কবিতায় আসাদ মান্নান ও বিমল গুহ, কথাসাহিত্যে ঝর্না রহমান ও বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রবন্ধ বা গবেষণায় হোসেনউদ্দীন হোসেন, অনুবাদে আমিনুর রহমান ও রফিক-উম-মুনীর চৌধুরী, নাটকে সাধনা আহমেদ, শিশুসাহিত্যে রফিকুর রশীদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় পান্না কায়সার, বঙ্গবন্ধু-বিষয়ক গবেষণায় হারুন-অর-রশিদ, বিজ্ঞান বা কল্পবিজ্ঞান বা পরিবেশ বিজ্ঞানে শুভাগত চৌধুরী, আত্মজীবনী বা স্মৃতিকথা বা ভ্রমণকাহিনিতে সুফিয়া খাতুন ও হায়দার আকবর খান রনো এবং ফোকলোর বিভাগে আমিনুর রহমান সুলতান।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের আন্দোলন সংগ্রামে কবি, সাহিত্যিকদের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি এটুকুই বলবো একটি জাতি সবসময় উন্নতি করতে পারে, যদি তার ভাষা ও সংস্কৃতি উন্নতি হয়। আমাদের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে সংস্কৃতিকর্মীদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে।’ পরে সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হয়।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২১ সালের সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্টজনদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, করোনার প্রকোপের কারণে এবার দুই সপ্তাহ দেরিতে শুরু হয়েছে বইমেলা। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে সাত লাখ বর্গফুট জায়গায় বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৩৮তম এ বইমেলা চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য—‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।