তাহেরা এনায়েত করিম:
আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা সাহিত্যের অনন্য ব্যক্তিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্ম কালজয়ী এ কবির। আজ কবির ১৬৩তম জন্মবার্ষিকী।
তিনি বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা গ্রহণ করেননি। গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তাঁর শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তাঁর লিখা প্রথম পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
২২ বছর বয়সে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়।১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। এর এক বছর পর মৃণালিনী দেরীর মৃত্যু হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দীর্ঘ রোগভোগের পর বাংলা ১৩৪৮ সালের বাইশে শ্রাবণ (ইংরেজী ৭ আগস্ট-১৯৪১) কলকাতায় পৈত্রিক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
বাঙালির এই কবি এমন এক সময় জন্মগ্রহণ করেছিলেন যখন রাষ্ট্র ছিল পরাধীন,চিন্তা ছিল প্রথাগত ও অনগ্রসর, বাংলাভাষা ছিল অপরিণত। রবীন্দ্রনাথ একাধারে এই ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করার পাশাপাশি জাতির চিন্তা জগতে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। বাঙালির প্রতিটি সংগ্রামেই কবির চিরায়ত রচনাসমগ্র আজীবন স্মরণের শীর্ষতায় আবিষ্ট হয়ে আছে।
সকল ক্ষেত্রেই স্পষ্ট উচ্চারন বারবার ধ্বনিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের অসংখ্য সৃষ্টি কর্মে। সত্য, সুন্দর আর প্রেমের সাধনা হয়ে ওঠে তার সমগ্র কাব্য সাহিত্যের প্রয়াস। আধুনিকতা আর উৎকর্ষকতায় মানুষ অনেক বেশি যান্ত্রিক হলেও আবেগ অনুভুতি প্রকাশে এখনো ফিরে আসতেই হয় রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি সম্ভারে।
পঁচিশে বৈশাখ দিবসটি উপযাপনের লক্ষ্যে নওগাঁর পতিসরে নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।