• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৬ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের তারিখ জানাল সৌদি আরব ১৮ জেলায় ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, দিন হবে রাতের মতো ঝড় ও বজ্রপাতে তিন জেলায় নিহত ৭ আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

বুর্জ খলিফার চেয়েও বড় গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাবে, আছে ক্ষতির সম্ভবনা!

প্রজন্মের আলো / ১২৫ শেয়ার
Update বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

পৃথিবীর কাছ দিয়ে বেরিয়ে যাবে এক বিশালাকায় গ্রহাণু। আর সেদিকেই এখন নজর মহাকাশ গবেষকদের। মহাকাশ শিলা- গ্রহাণু ৭৪৮২ পৃথিবীর কাছ দিয়ে বেরিয়ে যাবে। নাসার সেন্টার ফর নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস) জানিয়েছে, গ্রহাণুটি ঘন্টায় ৬৯,২০০ কিলোমিটার বেগে উড়ছে।

মহাকাশবিজ্ঞানরা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি ২০২২ পৃথিবীর সবচেয়ে নিকটে থাকবে এই গ্রহাণু।

অ্যাস্টেরয়েড ৭৪৮২, সাধারণভাবে ১৯৯৪ পিসি-১ নামে পরিচিত। এটির ব্যাস প্রায় ৩,২৮০ ফুট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের প্রায় দ্বিগুণ লম্বা এটি। প্রায় ১৯ লক্ষ কিলোমিটার দূর দিয়ে এই গ্রহাণু বেরিয়ে যাওয়ার কথা।

পৃথিবী এবং চাঁদের মধ্যবর্তী দূরত্বের পাঁচগুণ এটি। তবে মহাকাশবিজ্ঞানের হিসাবে এটি ‘নিয়ার আর্থ অবজেক্ট’ বা পৃথিবীর সন্নিকটস্থ বস্তু হিসাবেই বিবেচিত হয়। এই স্পেস রকটি প্রতি ১.৫ বছরে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। ফের ২০৫১ সালে এটি পৃথিবীর কাছাকাছি দিয়ে যাবে। এর আগে শেষবার ১৯৩৩ সালে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে এসেছিল। সেই সময়ে এটি পৃথিবী থেকে ১১ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

গ্রহাণুটি ২০১৭ সালের এপ্রিলে শেষবারের মতো পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিল। আগামী ২০৩৪ সালের জুলাই পর্যন্ত আমাদের মহাজাগতিক অঞ্চলে ফিরে আসবে না। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার জ্যোতির্বিজ্ঞানী রবার্ট ম্যাকনট গ্রহাণুটি দেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার সাইডিং স্প্রিং অবজারভেটরি থেকে তিনি এর পর্যবেক্ষণ করে। এর পরবর্তী বছরগুলিতে বিজ্ঞানীরা অধ্যয়নের পর এর কক্ষপথ নির্ধারণ করতে সক্ষম হন।

গ্রহাণু ১৯৯৪ পিসি-১ ছাড়াও, গ্রহাণু ২০২১ ওয়াইকে গত ২ জানুয়ারি ১.১৮ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবীর পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। এই গ্রহাণুটি অবশ্য অনেক ছোট। মাত্র ১২ মিটার লম্বা।

নাসা এবং এর আন্তর্জাতিক অংশীদাররা ক্রমাগত আকাশে পৃথিবীর নিকটস্থ বস্তুর (NEOs) নজরদারি করেন। এই ধরনের ‘বস্তুর’ মধ্যে রয়েছে গ্রহাণু এবং ধূমকেতু। পৃথিবীর কক্ষপথের ৫০ মিলিয়ন কিলোমিটারের মধ্যে আসে এমন সবকিছুই নজরে রাখা হয়। বিজ্ঞানীদের অনুমান, কোটি কোটি গ্রহাণু এবং ধূমকেতু আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।

আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে এই স্কেল গুলিয়ে ফেললে চলবে না। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ‘কাছাকাছির’ পরিমাপ কিন্তু অনেকটাই বেশি। পৃথিবী থেকে ১৯.৪ কোটি কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও গ্রহাণু বা অন্যান্য ছোট সৌরজাগতিক বস্তুকে পৃথিবীর নিকটবর্তী বস্তু হিসাবে বিবেচনা করা হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories