Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the themesdealer domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান – প্রজন্মের আলো
  • শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
  • [gtranslate]
সংবাদ শিরোনাম
বর্তমানে দেশ গ্যাস সংকটের মধ্যেই আছে: শিল্প উপদেষ্টা বেঈমানি করলে ড. ইউনূসকে ছাড় দেয়া হবে না: সারজিস আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যান চলাচল সীমিত করল প্রশাসন এসএসসি পরীক্ষা ১০ এপ্রিল শুরু, রুটিন প্রকাশ ১২ জেলায় নতুন পুলিশ সুপার ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক হলেন সারজিস দুদক ও বিচার বিভাগ শেখ হাসিনার দাসে পরিণত হয়েছিল: আসিফ নজরুল সিরিয়া থেকে পালিয়ে রাশিয়ায় আসাদ শনিবার স্কুল খোলার বিষয়ে যা জানাল মাউশি মামলায় নাম থাকলেই গণহারে গ্রেপ্তার নয়: আইজিপি জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নে সবাইকে এক হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট জয় আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন বন্ধ ঘোষণা আগরতলার সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ, পূর্ণ তদন্তের আহ্বান

সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই: সেনাপ্রধান


Notice: Undefined variable: default in /home/projonmeralo/public_html/wp-content/themes/news new/single.php on line 32
প্রজন্মের আলো / ২০ শেয়ার
Update শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪
সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ওয়াকার-উজ-জামান। সংগৃহীত ছবি

অনলাইন ডেস্ক:

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, অন্য যেসব ধর্ম আছে, সব ধর্ম, জাতি ও গোষ্ঠী সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে চাই। এখানে সুন্দরভাবে শান্তিতে বসবাস করতে, দেশ ও জাতির উন্নতি করতে চাই।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে পবিত্র কঠিন চীবর দান উৎসব ও জাতীয় বৌদ্ধধর্মীয় মহাসম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ বৌদ্ধ ফেডারেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅং এবং অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।

সেনাপ্রধান বলেন, যখন আজান হচ্ছিল, তখন তাঁরাই বললেন যে কিছুক্ষণ পরে শুরু করি, আজানটা শেষ হয়ে যাক। এই যে ধর্মীয় বোঝাপড়া (আন্ডারস্ট্যান্ডিং), ধর্মীয় সম্প্রীতি, মমত্ববোধ দেখিয়েছেন, এটা অতুলনীয়।

ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আমরা দেখতে চাই, এভাবেই প্রতিনিয়ত, প্রতি সময় আপনারা আপনাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো পালন করবেন। সুখে-শান্তিতে থাকবেন। এ জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা সেটা করব। এর আগে দুর্গাপূজাতেও আমরা নিরাপত্তা দিয়েছি। খুব সুন্দরভাবে তা উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনারা যখনই যে ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা চাইবেন, আমরা সেটা প্রদান করব।

বৌদ্ধধর্মের মূলমন্ত্র শান্তি ও সম্প্রীতি উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, হাজার হাজার বছর ধরে আমরা এখানে আছি, এটাই আমাদের ঐতিহ্য। সবচেয়ে পুরোনো ধর্ম হচ্ছে সনাতন ধর্ম, তারপরে বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব হয় আড়াই হাজার বছর পূর্বে, পরবর্তীতে খ্রিষ্টধর্ম আসে এবং ইসলাম সবচেয়ে শেষে আমাদের দেশে আসে। এই প্রধানতম চার ধর্ম, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে চাই। একে অপরকে সাহায্য করব, সহমর্মিতা প্রদর্শন করব; কারও কোনো অসুবিধা হলে, বিপদে পড়লে সাহায্য করব। এভাবে একটা সম্প্রীতির একটি দেশ গড়ে তুলতে চাই। সবাই মিলে ভালো থাকতে, সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের উদ্দেশে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের দেখে ভালো লাগছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতকে দেখে। তারা এ দেশে অনেক বৌদ্ধমন্দির তৈরিতে আর্থিক সহায়তা করেছেন। বাংলাদেশের বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের জন্য এটা চমৎকার অবদান। এখানে ভিয়েতনাম ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও আছেন। তারাও বাংলাদেশে শান্তি-সম্প্রীতির জন্য অবদান রাখছেন।

তিন পার্বত্য জেলা নিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, পার্বত্য জেলায়, বিশেষ করে যেহেতু এখানে আমাদের একটু শান্তি-সম্প্রীতির কিছুটা ঘাটতি আছে, সেদিকটা পুষিয়ে নিতে চাই। একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই। পাহাড়ে সবাই পাহাড়ি-বাঙালি যেন একসঙ্গে বসবাস করতে পারি।

নিজেও পার্বত্য জেলায় দায়িত্ব পালন করে এসেছেন জানিয়ে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, আপনাদের প্রতি আমার মমত্ববোধ-ভালোবাসা আছে। পার্বত্য জেলার শান্তির জন্য যা কিছু প্রয়োজন, আমাকে যদি বলা হয়, আমি সেটা করব। পার্বত্য জেলায় পাহাড়ি-বাঙালি, সবাই যেন সুন্দরভাবে বাস করতে পারি, সেই চেষ্টা আমার জারি থাকবে।

পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, আপনাদের একটা ভাষা-সংস্কৃতি আছে। আমরা এটাকে সম্মান করতে চাই। সংস্কৃতি, ভাষা ও জীবন–বৈচিত্র্য, এটাকে আমরা রক্ষা করতে চাই। এটা আমাদের বিশাল বড় সম্পদ। এগুলোকে সংরক্ষণ করার জন্য যা কিছু করতে হয়, আমরা করব।

পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটন ও পাহাড়িদের শিক্ষার সুযোগ তৈরির বিষয়ে জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পার্বত্য জেলাগুলো চমৎকার প্রাকৃতিক দৃশ্যসংবলিত। এখানে পর্যটকদের গন্তব্য হতে পারে। পর্যটকদের আকর্ষণ করবে, এমন অনেক কাজ করার আছে। আর সেখানে স্কুল-কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় করলে পাহাড়ি ভাইবোনেরা সুন্দরভাবে সেখানে পড়াশোনা করতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেশ-বিদেশে তাদের দক্ষতা নিয়ে ছড়িয়ে যেতে পারবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Deprecated: File Theme without comments.php is deprecated since version 3.0.0 with no alternative available. Please include a comments.php template in your theme. in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories