themesdealer
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/projonmeralo/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114অনলাইন ডেস্ক:
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ সমাবেশে তিনি এ আল্টিমেটাম দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কোনো ঘোষণাপত্র নেই। আমরা বলেতে চাই, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র জারি করতে হবে। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আপনারা ঘোষণাপত্রের পক্ষে জেলায়, মহল্লায় মানুষের কাছে যাবেন। তাদের কথা শুনবেন যে তারা কী বলতে চায়। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে আমাদের সংগ্রাম জারি থাকবে। আবার দেখা হবে ১৫ জানুয়ারি ঘোষণাপত্র নিয়ে।
বক্তব্যের শুরুতে গত ৩ আগস্টের এক দফা ঘোষণার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এই শহীদ মিনার থেকে আমরা এক দফা ঘোষণা দিয়েছিলাম। অনেকেই আমাদের এই অভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারেনি। এ জন্য সচিবালয়ে, পুলিশ বিভাগে ষড়যন্ত্র চলে। যারা সচিবালয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন, তাদের বলতে চাই, আপনারা রিয়েলিটি মেনে নেন। এই দেশে খুনি হাসিনার পুনর্বাসন হবে না। গত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ডাকে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। আমরা হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি। আমরা এই সরকারকে বলতে চাই, এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হয়নি, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আপনাদের কাজটা কী? দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো বিপ্লবীর ওপর আক্রমণ করা হয়, এই সরকারকে তার দায়বভার নিতে হবে। আজ এতদিন হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত বিচার বহির্ভুত হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা হয়নি। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার অতি শিগগির নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে শহীদ মিনার এলাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
এ সময় ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
বক্তারা বলেন, শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, এর মধ্যে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেউ কেউ। যখনই আমরা চিরতরে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে চাই, তখনই সুশীল বেশে কিছু ব্যক্তি ও দল বিরোধিতায় নেমে যায়। আমরা প্রয়োজনে তাদেরও প্রতিহত করব।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের আশপাশে অবস্থান নিচ্ছেন। চেয়ার বিছিয়ে শহীদ মিনারের সামনেও অনেক বিপ্লবীদের অবস্থান করতে দেখা যায়। অনেকের মাথায় দেশের পতাকা বাধা রয়েছে।
চট্টগ্রাম, নাটোর, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতাও সকাল থেকে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন এবং পর্যায়ক্রমে তারা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হন।