• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে ঢাকায় আসছেন মার্কিন দূত রেনা বিটার শিক্ষক নিবন্ধন: এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে’ স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: রাষ্ট্রপতি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না আওয়ামী লীগ নেতারা শিক্ষা খাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশও স্যাংশন দেবে: প্রধানমন্ত্রী

সুযোগ না দিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে ভারত: কৃষিমন্ত্রী

প্রজন্মের আলো / ১০ শেয়ার
Update মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০২৩
ছবি সংগৃহীত

অনলাইন ডেস্ক:

প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সুযোগ দেয়া উচিত বলেও মনে করেন মন্ত্রী।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ভারত কোনো ধরনের প্রস্তুতির সুযোগ না দিয়েই দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের উচিত সুযোগ দেয়া। তাদের এই সিদ্ধান্তের ফলে পেঁয়াজের বাজার কীভাবে সামলাবো সেটা মোকাবিলা করাই এখন আমাদের চ্যালেঞ্জের বিষয়।

ভারত তাদের রফতানি পণ্যের ওপর ৪০ শতাংশ ট্যাক্স বাড়িয়েছে শুনেই দেশের বাজারে দাম বাড়িয়ে ফেলেছে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

সম্প্রতি ভারত সফর করে আসা ক্ষমতাসীন দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ভারত পেঁয়াজে রফতানি শুল্ক বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশেকে অনেক ভুগতে হয়। সম্প্রতি ভারত সফরে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রীকে এমনটা না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা গমের ক্ষেত্রে আর এমন করবে না বলে আশ্বস্ত করেছিল। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করবে কি না জানি না।

পেঁয়াজের সংকট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বড় সমস্যা হলো পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না, পচে যায়। এটা একটা সমস্যা। চলতি বছরে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ কম উৎপাদন হয়েছে। গতবার দাম না পাওয়াতে চাষিরা পেঁয়াজ উৎপাদন কম করেছে।

১৩ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এখন ভারতের বিকল্প বাজার হিসেবে মিসর, চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি চেষ্টা করা হচ্ছে। চায়না, জাপান, ইরান, মিসর এসব দেশ থেকে কেউ যদি পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সরকার অনুমতি দেবে। এটা হলে দাম বাড়বে না।

কবে নাগাদ আমদানি করা হবে, এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, যারা আমদানি করে তারা কাল থেকেই করতে পারে। যে কেউ ইমিডিয়েট চীন, জাপান, ইরান থেকে পেঁয়াজ আনতে চায়, আমরা তাদের আইপিও দেবো।

এবার অন্যান্য বছরের চেয়ে কৃষকের ঘরে বেশি পেঁয়াজ রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়বে, কিন্তু ওই রকম আকাশচুম্বী হবে না বলে আমাদের ধারণা।

বাজার মনিটরিংয়ে দুর্বলতা রয়েছে কি না, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, খোলাবাজার অর্থনীতি। কতটা আপনি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন? এটা-তো রেজিমেন্টেড গভর্নমেন্ট না, রাশিয়া ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সরকার নয়। ইচ্ছা করলেই আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। এটা চাহিদা ও সরবরাহের ওপর নির্ভর করে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।

তিনি আরও বলেন, দুটি উপায়ে আমরা এ সমস্যাটা সমাধান করতে চাচ্ছি। এক হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ বৃদ্ধি করা। দ্বিতীয় হচ্ছে, পেঁয়াজকে দীর্ঘ সময় পচন থেকে রক্ষা করা।

হুট করে যাতে দাম না বাড়াতে পারে ব্যবসায়ীরা সেজন্য কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান কৃষিমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর এই শুল্ক বহাল থাকবে। গত শনিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ন্ত্রণের একটি ব্যবস্থা হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories