তানভীর রহমান:
ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজে উপস্থিত হয়ে ঈদ উপহার নিয়ে দেখা করেছেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) গোলাম মওলা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নওগাঁ জেলা শহরের দুবলহাটি রোড এলাকার বাড়িতে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী সাইদুজ্জামানের স্ত্রী, মা, বাবা ও মেয়েশিশুর জন্য উপহার নিয়ে যান তিনি।
নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইদুজ্জামানের মেয়ে মেহেরিমা সাফরিন জামানের জন্য ঈদের নতুন জামা উপহার দেন ডিসি গোলাম মওলা। এ ছাড়াও রমজানে এ পরিবারের জন্য খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়া হয়।
ঈদ উপহারসামগ্রী সাদরে গ্রহণ করে সাইদুজ্জামানের বাবা সাবেক অধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘জেলা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের পরিবারের প্রতি যে সমবেদনা জানিয়েছেন, তাতে আমরা সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই। গতকাল আমার ছেলের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে দস্যুরা তাদের সঙ্গে বেশ নমনীয় ব্যবহার করছে।’
সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা বেশ খুশি, তবে খুব তাড়াতাড়ি সন্তান ঘরে ফিরে আসলে পরিবারে বইবে খুশির ঈদ বলে জানান তিনি।
ডিসি গোলাম মওলা বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সাইদুজ্জামানের পরিবার জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমি দরখাস্ত করি। সরকার সবসময় এ পরিবারের পাশে থাকবে।
‘সকলের পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে জিম্মি নাবিকরা যেন পরিবারের মাঝে অতি তাড়াতাড়ি ফিরে আসেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সকল প্রকার কাজ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য,গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ ক্রুসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা।
জিম্মি করার ৯ দিনের মাথায় জাহাজ থেকে মালিকপক্ষের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনে যোগাযোগ করে দস্যুরা। মূলত জাহাজসহ নাবিকদের মুক্তির বিষয় নিয়ে এরপরই আলোচনা শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে।