পারভেজ গাদ্দাফী :
৩ মে ২০২৫ সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হয়েছে “বিশ্ব গণমাধ্যম স্বাধীনতা দিবস”। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৩ সালে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। মূল লক্ষ্য—গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা।এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা দিবসটি পালন করছেন।
এ বছরের প্রতিপাদ্য—এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং- স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’।যা গণতান্ত্রিক সমাজে সাংবাদিকতার ভূমিকা ও স্বাধীনতা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে।
দিবসটি উপলক্ষে ঢাকা প্রেস ক্লাব সহ সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোতে আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক এবং অনলাইন গণমাধ্যম দিবসটি গুরুত্বের সঙ্গে পালন করছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যেসব সাংবাদিকরা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিক নেতারা বলেন, “একটি স্বাধীন গণমাধ্যম না থাকলে মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।”
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকদের প্রতি সহমর্মিতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার অঙ্গীকারই এ দিবসের মূল বার্তা।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুসারে ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ।
সাংবাদিকতার স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এই দিবসে।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আজ (৩ মে) দুপুর ৩টায় ধানমণ্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য এর অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশ আফটার দ্য মনসুন আপরাইজিং: দ্য মিডিয়া ল্যান্ডস্ক্যাপ’ শীর্ষক একটি সিম্পোজিয়াম আয়োজন করে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)।
এতে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক ও গবেষকরা।