মাহফুজ নূরে জান্নাত সূচি/রুচি:
নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নওগাঁয় ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সদর, বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলায় এসব শিমের চাষ হয়েছে বেশি।
যতদূর চোখ যায়, চোখে মায়া ধরিয়ে দেয় বেগুনি রঙের ফুল। প্রথম দেখায় মনে হবে, কোনো বড় ফুল বাগানে প্রবেশ করেছেন। এমন চোখ ধাঁধানো দৃশ্য নওগাঁর শিমক্ষেতগুলোতে।
কৃষিপ্রধান জেলা নওগাঁয় অন্য বছরগুলোর মতো চলতি বছরেও চাষ হচ্ছে আগাম জাতের শিম। আগাম জাতে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
অন্যদিকে শীতের আগেই বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের ভাদ্রা ও বুলবুলি জাতের শিম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, নওগাঁয় ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ হয়েছে। জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে সদর, বদলগাছী ও মহাদেবপুর উপজেলায় এসব শিমের চাষ হয়েছে বেশি।
জেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে গিয়ে দেয়া যায়, মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। তার ওপর হালকা বেগুনি রঙের ফুল। পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। কেউ শিম তুলছেন, আবার কেউ শিম ক্ষেত পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মাথার ওপর তীব্র রোদ ও গরম হলেও যেন এতটুকু ক্লান্তি নেই চাষিদের মধ্যে। কারণ শীতে চাষ ভালো হওয়ায় খুশি তারা। সেই সঙ্গে আগাম জাত হওয়ায় মিলছে বেশি দামও।
বদলগাছী উপজেলার চাকরাইল গ্রামের শিম চাষি আজিজুল হক বলেন, ‘আমি ৭ বিঘায় আগাম বুলবুলি জাতের শিমের চাষ করেছি। কয়েক দিনের মধ্যেই শিম উঠানো শুরু করব।’
তিনি জানান, প্রতি বিঘায় সার, সেচ, ওষুধ, শ্রমিকসহ তার খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো। মে মাসে শিমের বীজ রোপণ করেছেন তিনি। আগামী ৬ মাস পর্যন্ত ক্ষেত থেকে শিম উঠানো যাবে।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবু হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চলতি মৌসুমে জেলার ৮ হাজার হেক্টর জমিতে নানা জাতের সবজির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শিমের চাষ হয়েছে।’
মাঠপর্যায়ে চাষিদের সমস্যা শুনে তা সমাধানে উপসহাকারী কৃষি কর্মকর্তারা পরামর্শ দেন।