এইসব প্রাণহীন বালিকা মুখ, শিশু-শব আমাকে
অপরাধী করে না।
আমি বরাবর স্বীকার করি, এই মোমবাতি মিছিলের
শহর,
আমারই জন্ম উপত্যকা।
আমি বরাবর স্বীকার করি,
আমার অপরাধ বলতে বাগানের ফুলছেঁড়া আর
সামান্য কিছু চোরা পরকীয়া। সুতরাং,
আমাকে তোমরা দায়ী করতেই পারো না।
আমি সেই ধর্মযাজক নই,যিনি নিশ্চিন্তে নরবলি চান প্রত্যহ
আমি সেই পিতা নই, যিনি কন্যাকে আগুনে আহুতি দেন জেনেশুনে
আমার গায়ে সেই লোকটার রক্ত একফোঁটাও নেই, যে জ্যোতি সিং, আসিফা
অথবা দিব্যার যোনিকে ক্রীড়াক্ষেত্র বিবেচনা করেছিল।
আমি এক ভীতু, দিন-আনা দিন খাওয়া ,পিছিয়ে থাকা লোকমাত্র
যার বিনোদন হিন্দি সিনেমা,পর্যটন
এবং বিলাসিতা শপিংমলের সামনের ফুটপাথ।
সুতরাং,আমাকে তোমরা দায়ী করতে পারো না শরণার্থী শিবিরের মৃত্যুর জন্য।
আমি এক খর্বকায় ছায়ার মানুষ।
আমার প্রতিবাদ কেবল ফেসবুকের স্টেট্যাস আপডেটে।
এবং মনে রাখা দরকার,
আমার কোনও প্রেমিকই চে গুয়েভরার কথা বলে নি কখনও।
সুতরাং, আমাকে তোমরা কোনওভাবেই দায়ী করতে পারো না মসজিদ বা রথ ভাংচুরের ঘটনায়।
বিশ্বাস করো, গ্রাহাম স্টেইনকে যারা জ্বালিয়ে ছিল,
তাদের মুখে আমার থু থু ছেটাতে ইচ্ছে করে।
তাই সুজেট জর্ডনকে আমি ‘বেশ্যা’ বলতে শিখি নি কোনও প্ররোচনাতেই।
আমি সেই সামান্য লোক,যে তার সন্তানের আয়ু নিজেকেও দেবে না কখনও …