‘আত্ম প্রচার বিমুখ কাজপাগল এক ব্যতিক্রমী মানুষ। নির্মোহ নিরহংকার সকলের সাথে মিলেমিশে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক অনুপম উদাহরণ রাসেল। স্বাধীনতার যখন ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে তখন অনেকেই ভুলতে বসেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরব গাঁথা। অনেকেরই স্মৃতির পাতা থেকে ঝরে গেছে মহান মুক্তি যুদ্ধের ঊষালগ্নের কথা তেজোদীপ্ত মধ্য প্রহরের কথা, কিংবা অলস বিকেলের অথবা গোধূলি লগ্নের সেই সব ইতিহাস। সেই আত্ম বলিদান বাঙালির জীবনে সবচেয়ে বড় ক্যানভাসে যে ছবিটা আঁকা তার নাম মুক্তিযুদ্ধ। সূচনা হয়েছিল ভাষার দাবি দিয়ে। ভাষা আন্দোলনের সৈনিকদের ই আমরা কজন মনে রেখেছি। বাগানে গোলাপ বকুল নাম না জানা কত ফুলের যে সমারোহ হওয়ার কথা ছিল –বৈরি বাতাস প্রতিকূল আবহাওয়া জলবায়ু তা হতে দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের ভাষা আন্দোলনের কাঙ্খিত বাগানে ফুলে ফলে যৌক্তিক ভাবে প্রস্ফুটিত হয় নি।
কিন্তু সবই কি শেষ হয়ে যাবে?
সবটাই কি নষ্টদের হাতে চলে গেছে?
না বাঙালির এত বড় অর্জন বৃথা যেতে পারে না। এম এম রাসেল সেই দায়িত্ব তিনি অন্ততপক্ষে নওগাঁ জেলায় কোথায় মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে কোথায় গণকবর আছে কোথায় ভাষা সৈনিককে পড়ে আছে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছে নওগাঁ জেলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত। রাসেলের প্রিয় সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ আয়োজনে ও ব্যবস্থাপনায় এমএম রাসেলের নেতৃত্বে ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে তিনটি বই– “গণহত্যা নওগাঁ ১৯৭১” -” রক্তঋণ ১৯৭১”
“নওগাঁর বরেণ্য ব্যক্তি” প্রকাশিত হয়েছে অনেক একুশের বুলেটিন।
গভীর এবং নিবিরভাবে গবেষণা করে নিরপেক্ষ নির্মোহ দৃষ্টিতে তুলে ধরেছেন নওগাঁর ভাষা আন্দোলন , নওগাঁর বুদ্ধিজীবী হত্যা, নওগাঁর মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা গণকবর বধ্যভূমি। প্রায় এক যুগ ধরে চলছে নিরন্তর মুক্তিযুদ্ধের গবেষণাকর্ম । দেশেবিদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
আমার জানামতে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে এমন কাজ বাংলাদেশের অন্য কোন জেলায় হয় নাই।
মা মাটি মাতৃভূমি। নওগাঁর ইতিহাস-ঐতিহ্য। নওগাঁর প্রাচীন খেলা গান কবিতা সংস্কৃতি নিয়ে এম এম রাসেল একুশে পরিষদের আয়োজনে নিরন্তন কাজ করে চলেছে।
বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কে যদি সত্যিকার অর্থে সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করতে চাই আমরা তাহলে দরকার শত সহস্র এম এম রাসেল এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশের প্রতিটি জেলার মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা ইতিহাস-ঐতিহ্য আবহমান বাংলার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমৃদ্ধ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের ।’