অনলাইন ডেস্ক:
সোমবার ভোরে আটক করা হয়েছে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। এর পর তাকে উত্তর প্রদেশের সিতাপুরের গেস্ট হাউসে রাখা হয়। সেখানে এই কংগ্রেস নেত্রীকে গেস্ট হাউসের মেঝে ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, এদিন ভোরে উত্তর প্রদেশের লাখিমপুরের খেরি যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে আটক করে পুলিশ। এর পর তাকে ওই গেস্ট হাউসে নিয়ে রাখা হয়। আগের দিন রোববার লাখিমপুরের খেরিতে কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে কৃষকদের প্রতিবাদ হয়। ওই সময় ৪ শিক্ষকসহ ৮ জনের প্রাণহানি ঘটে। তার প্রতিবাদ জানাতেই সেখানে যাচ্ছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং একদল কংগ্রেস নেতা লাখিমপুরের খেরি যাওয়ার পথে সোমবার ভোরে তাদের আটক করা হয়। আটকের পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সিতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে রাখা হয়। সেখানে তাকে গেস্ট হাউসের মেঝে ঝাড়ু দিতে দেখা গেছে।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শেয়ার করা এটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী উত্তর প্রদেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্ক করছেন। আটক হওয়ার পর তিনি তার কাছে পরোয়ানা দেখার দাবি করেন বলে জানানো হয়েছে। কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, বিবাদের এক পর্যায়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র ও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর সফরের প্রতিবাদে রোববার সকাল থেকে বিক্ষোভ করছিলেন লখিমপুরের কৃষকরা। এ সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ের একটি গাড়ি বিক্ষোভকারীদের ওপর তুলে দিলে দুই কৃষক নিহত হন। এ সময় ওই গাড়িতে ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। লখিমপুর খিরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অরুণ কুমার সিং দাবি করছেন, ওই সময় ব্যাপক সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে চার কৃষকসহ মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়। তবে মন্ত্রী অজয় মিশ্র দাবি করেছেন, ওই গাড়িবহরে তার ছেলে ছিল না।