• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার ঈদুল ফিতরের তারিখ জানাল সৌদি আরব ১৮ জেলায় ঝড়ের আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা বিরল সূর্যগ্রহণ আজ, দিন হবে রাতের মতো ঝড় ও বজ্রপাতে তিন জেলায় নিহত ৭ আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস

জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় শিশুদের বেস্ট প্রাকটিস

প্রজন্মের আলো / ৪০ শেয়ার
Update সোমবার, ২২ মে, ২০২৩

তাহেরা এনায়েত করিম:

বাংলাদেশের দুর্যোগপুর্ন জেলাগুলোর মধ্যে সিরাজগঞ্জ অন্যতম। এই জেলার ৬টি উপজেলার সাথে নদীর সম্পর্ক থাকায় প্রতি বছর বন্যা ও নদী ভাঙন লেগেই আছে। এছাড়া জেলার দুইটি উপজেলায় রয়েছে চলনবিল। এই চলনবিল এলাকটি বছরের বেশীরভাগ সময় পানিশুন্য থাকে। এই মৌসুমে প্রচন্ড খরার সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। এখানে পানির লেয়ার অনেক নীচে চলে গেছে। অনেকের কলে পানি উঠেনা। সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের শিংপাড়া গ্রামে Global Fund for Children (GFC) USA এর সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সংস্থা Development for Disadvantaged People (DDP) জয়ফুল লার্নিং স্কুল নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এই প্রকল্পের শিশুদের বিভিন্নভাবে ও আনন্দময়ভাবে শিক্ষাদান করা হয়। এই স্কুলের সকল নৃগোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের ছোট থেকেই জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব সম্পর্কে ধারনা দেয়া হচ্ছে এবং কিভাবে জলবায়ুর অভিযোজন করা যায় সে বিষয়ে শেখানো হয়। এখানে পানির সংকট আছে এমনকি অনেকের বাড়ীতে পানির কল নেই। এজন্য পানির প্রয়োজনিয়তা বোঝানো হচ্ছে ও পানি সংরক্ষনের জন্য তাদেরকে আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রত্যেক শিশুর বাড়ীতে কলের নিচে একটি করে রিসাইকেলিং ম্যাটেরিয়ালসে তৈরি বালতি রাখা আছে। সারাদিনে অনেকবার কল থেকে পানি নেয়ার প্রয়োজন হয় আর প্রতিবার পানি নেয়ার পরেও অনেক পানি অপচয় হয়। এজন্য কল থেকে অনবরত পড়া সেই পানিটি উক্ত বালতিতে সংরক্ষণ করা

হচ্ছে। এই পানি পরবর্তীতে গৃহস্থালি কাজে এবং নিজেদের লাগানো সব্জি বাগানে ব্যবহার করা হচ্ছে। জয়ফুল লার্নিং স্কুলের শিক্ষার্থী ভক্ত (০৮) বলেন, আমরা এখন আর পানি নস্ট করিনা। প্রতিদিন ৩-৪ বালতি করে পানি জমে আমাদের বালতিতে। আরেক শিক্ষার্থী সুষমা (১০) বলেন, পরিবেশ যাতে ঠান্ডা থাকে এবং ঝড় থেকে যাতে আমাদের বাড়ী রক্ষা পায় সেজন্য স্কুল থেকে আমাদের গাছ ও বিভিন্ন শাকসব্জীর বীজ দিয়েছে। আমরা এগুলো লাগাইছি ও নিজেরাই যতœ করি। ডিডিপি এর নির্বাহী পরিচালক Quazi Sohel Rana বলেন, আমরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন সব্জি বীজ শিশুদের মাঝে বিতরন করেছি। এছাড়া বৃক্ষ রোপনের অংশ হিসেবে ফলজগাছ বিতরন করেছি। আমরা শিশুদেরকে শিক্ষার

পাশাপাশি পরিবেশ বান্ধব মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। প্রতিদিন প্রতিটি শিশর বাড়ীতে পানি জমানোর পাত্রে প্রায় ১০০ লিটারের মত পানি জমে যা তারা প্রয়োজনিয় কাজে ব্যবহার করছে। জলবায়ুর বিরুপ প্রভাব মোকাবেলায় এখানে শিশুদের পাশাপাশি আমাদের কিছু যুব ফোরাম আছে যারা এই কমিউনিটির জন্য স্থানীয় সরকারের সাথে এ্যাডভোকেসি করে। মাধাইনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিলুর রহমান হাবীব বলেন, আমি সত্যিই অবাক হয়েছি এতো সুন্দর একটি উদ্দোগ দেখে। জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে আমরা প্রতিনিয়ত নানা পরিবেশগত সমস্যার সম্মুক্ষিন হচ্ছি। আমার ইউনিয়নের অনেক জায়গায় পানির লেয়ার অনেক নীচে চলে গেছে। পানির সদ্বব্যবহার জরুরী একটি কাজ যা শিশুরা ছোট বেলা থেকেই চর্চা করছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories