• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৬ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু

নওগাঁয় ৯৭ শতাংশ ইট ভাটার অনুমোদন নেই

প্রজন্মের আলো / ১৩৫ শেয়ার
Update বুধবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক:

ইটভাটা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম নীতিই মানা হচ্ছে না নওগাঁ জেলায়। খেয়াল খুশি মতো আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা ইট ভাটার দূষণে চরম দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ জেলায় ২০৩টি ইটভাটা কারবার করলেও বৈধ কাগজ রয়েছে মাত্র ৭টির। কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব ভাটায় গণহারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে গাছে ধরা ফল। আর ইট তৈরির কাজে কেটে তোলা হচ্ছে জমির টপ সয়েল এতে দীর্ঘ মেয়াদে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

গাছ পালার সবুজ অরণ্যের মাঝেই গড়ে তোলা এসব ইটভাটা নওগাঁর মান্দার মৈনম এলাকায়। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ভাটা গড়ে তোলার এ প্রতিযোগিতা চলছে জেলার ১১ উপজেলাতেই। এসব ভাটায় ইট প্রস্তুত করতে কেটে তোলা হচ্ছে আবাদি জমির টপ সয়েল।

অনাবাদী ও অনাবাসিক এলাকায় ভাটা গড়ে তোলার নিয়ম থাকলেও উল্টো চিত্র এখানে। আবাদি জমি ও আবাসিক এলাকায় ইটভাটা গড়ে তোলার পর ছাড়পত্র নিতে সংশ্লিষ্ট দফতরে চলছে দৌড়ঝাঁপ।

সম্প্রতি কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় এসব ভাটায় ইট তৈরিতে জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। স্থানীয়রা বলছেন, এসব ভাটার ভয়াবহ দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিসহ গাছ পালায় দেখা দিয়েছে ফলন বিপর্যয়। অক্টোবরের শেষ থেকে পুরোদমে ইট তৈরিতে ব্যস্ততা বাড়ে এসব ভাটায়। অন্তত ৫ মাস ইট তৈরির এ কারবার চলে।

জেলা পরিবেশ অধিতফতরের তথ্য বলছে, এ জেলায় ২০৩টি ইট ভাটা রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ৭টি ইট ভাটার বৈধ কাগজ রয়েছে। এসব ইট ভাটার বেশির ভাগই তোয়াক্কা করছে না আইনের।

এসব ইট ভাটায় উর্বর জমির টপ সয়েল কেটে তোলায় কৃষিতে দীর্ঘমেয়াদে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ পরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ।

অবৈধ ইটভাটার এমন কর্মযজ্ঞ বন্ধে সংশ্লিষ্ট দফতরের শক্ত ভূমিকা রাখার কথা কিন্তু অবলীলায় কথার বানীতে দায় এড়ানোর চেষ্টা পরিবেশ অধিতফতরের উপ পরিচালক মো. মোকবুর হোসেনের। আর ব্যবসায়ীরা দেখালেন নানা যুক্তি।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, জেলায় সোয়া দু’লাখ আবাদি জমির মধ্যে প্রতি বছর অন্তত আড়াই হাজার হেক্টর উর্বর জমি ইট ভাটায় ব্যবহার হচ্ছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, মান্দায় ৩৮টি, নওগাঁ সদরে ৩৫টি, মহাদেবপুরে ২০টি, ধামইর হাটে ২১টি, বদলগাছীতে ২৬টি, পত্নীতলায় ১৭টি, আত্রাই ১৬টি, রাণীনগর ১২টি, নিয়ামতপুরে ৬টি, সাপাহারে ২টি এবং পোরশায় ১০টি ইটভাটা রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories