• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
রোববার খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: হিট অ্যালার্টে স্কুল বন্ধ চান অভিভাবকরা বিমা কোম্পানী পরিচালনায় আসছে নতুন আইন সারাদেশে হিট অ্যালার্ট জারি ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু

ফেসবুক-ইউটিউব থেকে কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা বিটিআরসির নেই : টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

প্রজন্মের আলো / ১৩৮ শেয়ার
Update মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১
ফাইল ফটো

প্রজন্মের আলো ডেস্ক:

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফেসবুক-ইউটিউবের মতো অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে কনটেন্ট অপসারণের প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা বা তালা মারার ক্ষমতা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নেই। শুধু বিটিআরসি নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষ না সরালে দুনিয়ার অন্য কোনো সরকারি কর্তৃপক্ষও কনটেন্ট সরাতে পারে না। বিটিআরসি অনুরোধ করলে কর্তৃপক্ষ তাদের নিজস্ব কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বিবেচনায় নিয়ে কিছু কনটেন্ট অপসারণ করে। এটাই হচ্ছে প্রকৃত বাস্তবতা।

সোমবার বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বক্তব্য দেন মন্ত্রী। আর কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে বিটিআরসির অনুরোধে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ১৮ হাজার ৮৩৬টি লিংকের মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮টি সরিয়েছে। আর ইউটিউব কর্তৃপক্ষ অনুরোধকৃত ৪৩১টি লিংকের মধ্যে ৬২টি সরিয়েছে। পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী ফেসবুকের বিটিআরসির অনুরোধে সাড়া দেওয়ার হার ২৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং ইউটিউবের সাড়া দেওয়ার হার ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে আরও সংযুক্ত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন। এছাড়া বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, সংস্থার মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিআরসির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘বিটিআরসি আইনগত ক্ষমতা অনুযায়ী মোবাইল অপারেটর, ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ এ সংস্থা থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অন্যান্য অপারেটরদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যদি ফেসবুকের একটা কনটেন্ট বন্ধ করতে হয়, তাহলে সে ব্যাপারে ফেসবুকের কাছে অনুরোধ জানাতে হয়। ফেসবুক তখন তার নিজস্ব কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী বিবেচনা করে কোন কনটেন্ট লিংক সরিয়ে নেয়, কোনটা সরায় না। এক্ষেত্রে আর কিছুই করার থাকে না।  শুধু বাংলাদেশ নয়, দুনিয়াজুড়েই ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর এটাই ব্যবস্থা। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কাছে এক রকমের অসহায়ত্ব বোধ করতে হয়। তারা তাদের মতো করে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বানায়, তাদের কৃপার ওপর নির্ভরশীল হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকে না। তবে এখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তবে বাংলাদেশের সীমানায় থাকা আপত্তিকর যেসব অনলাইন আছে, পর্ন ও জুয়ার সাইট আছে সেগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বন্ধ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ২২ হাজারের বেশি পর্ন ও জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই এ ধরনের সাইট বন্ধ করার কাজ চলছে। প্রযুক্তিগত এ বাস্তব অবস্থাটা সবাইকে বুঝতে হবে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘বিটিআরসির পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম আছে। কিন্তু সাইবার মনিটরিংয়ের মূল কার্যক্রমটি করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি।তারা ক্ষতিকর কনটেন্ট চিহ্নিত করে বিটিআরসির কাছে পাঠায়। সে অনুযায়ী বিটিআরসি কনটেন্ট সরানোর জন্য ফেসবুক, ইউটিউব বা এ ধরনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানায়। আবার অনেক মানুষ বিটিআরসির হটলাইন, অনলাইন এবং ই-মেইলে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ জানায়। এখানে একটা সীমাবদ্ধতা হচ্ছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধের সঙ্গে ফেসবুক-ইউটিউব কর্তৃপক্ষ আদালতের রায়, নির্দেশনা কিংবা আদেশের কপি চায়। সরকারি সংস্থার তালিকার ক্ষেত্রে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ অনুসরণ করা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিকর কনটেন্ট সরানোর যেসব অনুরোধ আসে সেখানে আদালতের নির্দেশনা কিংবা আইনগত পদক্ষেপের বিষয় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই থাকে না। এ কারনে তখন কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ জানালেও ফেসবুক বা ইউটিউব সাড়া দেয় না। তারপরও বিটিআরসি বার বার অনুরোধ করে। যিনি অভিযোগ করেন, তাকে জিডি করার কিংবা এ ধরনের আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এখন বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের ব্যবস্থা হয়েছে। যখনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, ক্ষতিকর কনটেন্ট সরানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড এখন উন্মুক্ত। শূন্যে যে কেউ ঘুড়ি ওড়াতে পারে। এটা নিয়ন্ত্রণের জন্য নাটাই নিজের হাতে বা সুতা কেটে দিতে হবে। সোশাল মিডিয়া সেই ঘুড়ির মতো, এর সুতো কাটার ক্ষমতা বিটিআরসির হাতে নেই। বেশ কয়েকবার ফেসবুকের সঙ্গে মিটিং করা হয়েছে। বাংলাদেশে একটা অফিস স্থাপনের জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা অফিস স্থাপন করেনি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories