অনলাইন ডেস্ক:
ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড। শনিবার (১২ নভেম্বর) এ আয়োজনে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) চেয়ারপারসন সজীব ওয়াজেদ জয়। সিআরআইয়ের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলার নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ৮ বছরে ৬ বার দেশ গঠনে এগিয়ে আসা তরুণদের হাতে তুলে দেওয়া হয় এই অ্যাওয়ার্ড।
সজীব ওয়াজেদ তরুণদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন সর্ববৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা। তরুণদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে এবং দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, পলিসি ক্যাফেসহ তরুণদের কাছে জনপ্রিয় নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে ইয়াং বাংলা। প্রায় ১ লাখের বেশি তরুণদের নিয়ে তৈরি ইয়াং বাংলার নেটওয়ার্ক। ‘কানেক্টিং দ্য ডটস’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইয়াং বাংলা বর্তমানে তারুণ্যের সবচাইতে বড় প্ল্যাটফর্ম। ১৫ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৫০০টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ইয়াং বাংলার পথচলা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেই ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন পূরণের চেষ্টাই করছেন তার দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে যেই স্বপ্নের সূচনা করেন, সেই স্বপ্ন পূরণ হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে উৎক্ষেপণের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর পেছনে বড় অবদান রাখেন।
আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার কথা বলে তা বাস্তবায়নে সবচাইতে বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় সজীব ওয়াজেদ জয়কে। তার দূরদৃষ্টির কারণে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কোভিড সময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে সজীব ওয়াজেদ অনলাইন স্কুলিং থেকে শুরু করে ডিজিটাল আর্থিক লেনদেন পর্যন্ত জীবনের সব ক্ষেত্রে জেন নেক্সট ইনফো টেক-এ প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস বিপর্যয়ের সময় ডিজিটাল রূপান্তরের সেবা পেয়েছে বাংলাদেশ। এটি টেলিমেডিসিন, ভার্চুয়াল কোর্ট এবং মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং ই-কমার্সের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের কাছে অর্থ সরবরাহ সহ ডিজিটাল কার্যক্রমের বিস্তৃতির মধ্য দিয়ে তার অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। কোভিড-এর সময় প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় টিকে থাকার ক্ষেত্রে প্রশংসা অর্জন করায় এই ডিজিটাল পরিষেবা সবচাইতে বড় অবদান রাখে।
তরুণরাই এই দেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আর এ কারণেই তরুণদের সঙ্গে বেশ কিছু ইন্টার্যাক্টিভ কার্যক্রম সিআরআই ও ইয়াং বাংলার মাধ্যমে পরিচালনা করেন সজীব ওয়াজেদ। তার ইচ্ছায় ও একান্ত প্রচেষ্টায় নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড, জয় বাংলা কনসার্ট, লেটস টক, পলিসি ক্যাফে, ইন্টার্ন প্রোগ্রামসহ আরও বিভিন্ন কার্যক্রম।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগে অনুপ্রেরণা দেওয়া হচ্ছে যা নীরবে এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বৈপ্লবিক কাজ করছে। সেটি ঢাকার পথশিশুদের শিক্ষিত করা থেকে শুরু করে সিলেটের দরিদ্র ও দুর্বল চা শ্রমিক সম্প্রদায়কে সাহায্য করা বা নারী নিরাপত্তা থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডারদের সক্ষম ও ক্ষমতায়ন করা পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সংগঠনগুলোর কার্যক্রম জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে স্বীকৃতি অর্জনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নজরে আসে যার স্বীকৃতি স্বরূপ পরবর্তীতে অনেক তরুণদের সংগঠন অর্জন করে আন্তর্জাতিক পুরস্কার। সূত্র: ঢাকা পোস্ট, বাসস