• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না: জাতিসংঘ অবন্তিকার মৃত্যু; সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে আরও জলদস্যু উঠেছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১০ বিশিষ্টজন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ গাজায় ইফতারের লাইনে দাঁড়ানো মানুষের উপর গুলি, নিহত ৬ শান্ত-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় জাহাজ অপহরণ ৫০ লাখ ডলার দাবি জলদস্যুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ হাইকোর্টের রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

ভিসির পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়

প্রজন্মের আলো / ১০১ শেয়ার
Update সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২
ফাইল ফটো

অনলাইন ডেস্ক:

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হল প্রভোস্টের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের প্রতিবাদে এবার উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ছাত্র উপদেষ্টা ও নির্দেশনা পরিচালক, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বয়কট ও পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে আন্দোলন শুরু করেন। এরআগে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা শাবিপ্রবির ফটকে অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন। শিক্ষার্থীদের এখন একমাত্র দাবি বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ।

এদিকে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গণিত বিভাগের অধ্যাপক ডা. রাশেদ তালুকদারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই কমিটি রবিবারের ঘটনা তদন্তের জন্য করা হয়েছে। কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য জহির বিন আলম বলেন, রবিবারের ঘটনা কীভাবে ঘটলো, এতে কারা দোষী- সেটা আমরা খুঁজে বের করবো। বিশ্ববিদ্যালয় শান্ত ছিল, হঠাৎ কেন এমন অশান্ত হলো তাও বের করা হবে।

এরআগে, সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে পুলিশের হামলা কেন তার জবাব দিতে হবে। ক্যাম্পাস পরিচালনায় ব্যর্থ হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে মুক্তমঞ্চের সমাবেশ থেকে উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।

উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

এরআগে, রবিবার সন্ধ্যায় শাবিপ্রবি প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এ নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে এখন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনড় অবস্থানে রয়েছেন। তারা জানিয়ে দিয়েছে, কোনো পরিস্থিতিতেই তারা হল ছেড়ে যাবে না।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ক্যাম্পাস ছাড়বে না। এমনকি ক্যাম্পাস ছাড়তে বলায় প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে বলেও বার্তা দেন তারা। যতক্ষণ না ‘স্বৈরাচারী’ উপাচার্য পদত্যাগ করছেন, ততক্ষণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাঠে থাকবে বলে জানান।

এরআগে, শাবিপ্রবির সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের ছাত্রীরা হলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজার বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদ করলে শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। এর প্রতিবাদে রবিবার সকাল আটটায় শাবির সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস আন্দোলনকারী ছাত্রীদের কাছে এক সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু ভুক্তভোগী ছাত্রীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন ও প্রশাসনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার বিচার চান। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শাবিপ্রবির সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভোস্ট সহযোগী অধ্যাপক জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগে বাধ্য হন।

এক পর্যায়ে, অধ্যাপক তুলসী কুমার দাসসহ প্রশাসনের অন্যান্যরা কোন সিদ্ধান্ত না জানিয়ে স্থান ত্যাগ করলে আন্দোলনকারী ছাত্রীরাও তাদের অনুসরণ করে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে এগোতে থাকে। এসময়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন থেকে শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বের হলে আন্দোলনকারী ছাত্রীরা তার পথরোধ করে। একপর্যায়ে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি বিল্ডিংয়ে গিয়ে উঠেন। সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে পুলিশ এসে রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিচার্জ শুরু করে।

পরে কলাপসেবল গেটের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে ভিসিকে উদ্ধার করে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন বলেও জানা যায়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় বেশ কয়েকজন পুলিশও আহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা হল ও হল প্রভোস্টের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories