• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার

মাধ্যমিক জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেলেন ৫৪৫২ জন

প্রজন্মের আলো / ১৯৫ শেয়ার
Update বুধবার, ৩০ জুন, ২০২১
ফাইল ফটো

প্রজন্মের আলো ডেস্ক:

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ৫ হাজার ৪৫২জন সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির জন্য যোগ্য ৭ হাজার ২৭৫ জনের মধ্যে তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুবু হোসেন বলেন, নানা জটিলতার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক থেকে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা এখন থেকে ৯ম গ্রেড বা প্রথম শ্রেণির গ্রেডে আথিক ও অন্যান সুবিধা পাবেন।

পদোন্নতি কমিটির সদস্য সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে থাকা জটিলতা পর শিক্ষকরা এ পদোন্নতি পেলেন। ভবিষতে এ পদোন্নতি অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালায় সিনিয়র শিক্ষক পদ সৃষ্টি করে তা সংশোধন করা হয়। তার আলোকে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে গ্রেডেশন (জ্যেষ্ঠতা) অনুযায়ী ৭ হাজার ২৭৫ জনের তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তার ভিত্তিতে ৫ হাজার ৪৫৪ জনকে সিনিয়র শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।

এই কর্মকর্তা আরো বলেন, দীর্ঘ দিন পরে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সৃষ্ট পদে পদোন্নতি পেয়ে শিক্ষকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। সহকারি শিক্ষকদের কাজের গতি বাড়াতে ও তাদের দায়িত্বশীল করে তুলতে নতুন আরেকটি পদ সৃষ্টি করে তাদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশির মতামতের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতির জন্য জ্যেষ্ঠতা সমস্যা নিরসনে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত মতামত দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দিয়ে বলেছিল, কৃষি শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা তাদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার তারিখ অর্থাৎ ২০০৪ সালের ২২ মে থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এটি চ্যালেঞ্জ করে কৃষি শিক্ষকেরা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করলে পদোন্নতি আটকে যায়।

কারণ, বিশেষ প্রক্রিয়ায় ১৯৯৫ সালে ৩৭৮ জন কৃষি শিক্ষক নিয়োগ পেয়েছিলেন ১৪তম গ্রেডে। তাই তারা সেসময় ১৪তম গ্রেডে বেতন পেতেন। আর অন্য শিক্ষকরা পেতেন ১০ম গ্রেডে বেতন।

গত বছরের শেষ দিকে আবার পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তখন আরেক জটিলতা দেখা দেয়, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কিছু শিক্ষককে পদোন্নতির তালিকাভুক্ত করার অভিযোগ ওঠে।

নিয়মানুযায়ী জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত আট বছর চাকরি করতে হবে। আর সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিতে প্রবেশের জন্য পাঁচ বছরের ব্যাচেলর অব এডুকেশন (বিএড) বা ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপ ইন এডু) বা ব্যাচেলর অব এগ্রিকালচার এডুকেশন (বি এজ এডু) ডিগ্রি থাকতে হবে। নানা কারণে অনেক শিক্ষক এই শর্তটি নির্ধারিত সময়ে অর্জন করতে পারেননি। শর্ত অর্জন না করা এমন প্রায় দেড় হাজার শিক্ষককে পদোন্নতির তালিকাভুক্ত করে মাউশি। এতে অর্ধ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) শিক্ষকরা অভিযোগ করলে আটকে যায় পদোন্নতির প্রক্রিয়া।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories