অনলাইন ডেস্ক:
রাজধানীর সায়দাবাদ, মনিপুরীপাড়া, রাজারবাগ ও শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে ৩১৭টি অবৈধ ওয়াকি-টকি সেট এবং বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামাদিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গ্রেপ্তাররা হলো, মেহেদী হাসান, সাদিক হাসান, মো. ফয়সাল, তালিবুর রহমান ও ফারুক হাসান।
সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজ ছাড়া কালো রঙের ওয়াকি-টকি ব্যবহারের নির্দেশনা না থাকলেও এ চক্রটি তা তৈরি করে বিক্রি করছিল। আর অবৈধ উপায়ে আমদানি করা সরঞ্জামাদি দিয়ে তৈরিকৃত ওয়াক-টকিগুলো ব্যবহার হতো অবৈধ কাজেই। এছাড়াও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যেও তারা এমনটা করেছিল।
রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ৫ জনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, শনিবার বিকাল ৪টা থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত র্যাব-১০ বিটিআরসি’র সহযোগিতায় ওয়াকি-টকি সেটের অবৈধ আমদানি, মজুত, বিক্রি, বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রদর্শন, ইজারা ইত্যাদি কারণে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে।
এই অভিযানে অবৈধ ৩১৭ টি বিভিন্ন প্রকার ওয়াকি-টকি সেট, ১১৬টি মোবাইল ও পাঁচ হাজার ২৪৪টি বিভিন্ন প্রকার একসেসরিস জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। গ্রেপ্তারদের মধ্যে মেহেদী হাসানের কাছ থেকে ২২৪টি ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট, ফারুক হাসানের কাছ থেকে ৩০টি ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট এবং পলাতক গোলাম মোহাম্মদ ফেরদৌসের বাসা থেকে ৬৩টি ওয়াকি-টকি ওয়্যারলেস সেট ও আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তাররা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনানুযায়ী, ওয়াকি-টকি ব্যবহারের জন্য কোন প্রকার লাইসেন্স বা তরঙ্গ নেয়নি। এছাড়াও একই আইনের ৫৭ (৩) ধারা অনুযায়ী, ওয়াকি-টকি আমদানি করার আগে বিটিআরসি থেকে অনাপত্তি পত্র নেয়ার নিয়ম থাকলেও তা না মেনে অবৈধভাবে ওয়াকিটকিগুলো আমদানি ও বিক্রি করেছেন।
অ্যাডিশনাল ডিআইজি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিও বলেন, এই ধরনের অবৈধ ওয়াকিটকি সেট ব্যবহার করে অপরাধী চক্র ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, দস্যুতা, চাঁদাবাজি, প্রতারণাসহ বহুবিধ অপরাধ করে থাকে। বিভিন্ন সময় ভুয়া র্যাব কিংবা পুলিশ সদস্য আটকের পর এই ধরনের ওয়াকিটকি সেট জব্দ করার ঘটনায় ঘটছে।