অনলাইন ডেস্ক:
সার কিনতে সরকার ৪৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী কৃষি উৎপাদন বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যেতে চান না। এজন্য এ ভর্তুকি দেয়া হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, সার কিনতে গত পাঁচ বছর যেটা ৮ হাজার কোটি টাকা করে আমরা ভর্তুকি দিয়ে আসছিলাম, সেটা গত অর্থবছর দিয়েছি ২৮ হাজার কোটি টাকা। এবার আমরা জুন পর্যন্ত স্টিমেট (প্রাক্কলন ব্যয়) করেছি, আমাদের দিতে হবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা কোথা থেকে আসবে? হয় কোনো গুপ্তধন লাগবে, নয়তো আলাউদ্দিনের আশ্চর্য প্রদীপ লাগবে! বাংলাদেশ এ টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে?
‘তা সত্ত্বেও আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি। উনি বলেছেন- এটা তোমার চিন্তার বিষয় না, আমরা কৃষি উৎপাদনের বিষয়ে কোনো ঝুঁকিতে যাব না। কৃষির উৎপাদনটাকে আমাদের সাসটেইন (দীর্ঘস্থায়ী) করতে হবে। যদি ৪৬ হাজার কোটি টাকা লাগে আমরা দেবো, তুমি সার কিনো।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমি আপনাদের মাধ্যমে জাতিকে আশ্বস্ত করতে চাই, ইনশাআল্লাহ সারের কোনো সংকট হবে না। কাজেই প্রকৃতি যদি আমাদের সহায়ক থাকে, বোরোতেও কোনো ঝুঁকি হবে না এটুকু আমি আপনাদের বলতে পারি।
এ মুহূর্তে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণের বেশি সার আছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
আমনের লক্ষ্যমাত্রা এবং উৎপাদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমন আমাদের একটা বড় ফসল। আগে এটি ছিল মূল ফসল। এখন অবশ্য বোরো অনেক বেশি হয়েছে। ২ কোটি টন বা তারচেয়েও বেশি বোরো হয় (উৎপাদন)। আর আমন হয় প্রায় এক কোটি ৫০ থেকে ৬০ লাখ টন।
এবছর বৃষ্টি না হওয়াতে বিলের তলাগুলোতেও মানুষ আমন ধান লাগাতে পেরেছে বলে জানান মন্ত্রী।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ঘাটতি হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, খুব একটা ক্ষতি হবে না। যে ধানগুলো একটু ম্যাচিউরড হয়েছিল, সেগুলো কিছুটা পড়ে গেছে। আর দক্ষিণাঞ্চলে ধানটা দিনাজপুর ও নওগাঁর চেয়ে একমাস পরে লাগায়। কাজেই আমার মনে হয় না খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।