• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার

সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি

প্রজন্মের আলো / ২০৮ শেয়ার
Update সোমবার, ৯ আগস্ট, ২০২১
ফাইল ফটো

বিশেষ প্রতিবেদন:

সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য শিক্ষাসংশ্নিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ে নানা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতি দু’দিন পরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্ন করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বস্তরের শিক্ষকদের টিকাদান কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার কাজও চলছে জোরেশোরে।

এর আগে আরও দুইবার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েও স্কুল-কলেজ খোলা যায়নি। সে কারণে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগাম কোনো ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে, একসঙ্গে খুলে দেওয়া হবে না। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে এবং আটকে থাকা স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত পরীক্ষাগুলো আগে নেওয়া হবে। এরপর ধাপে ধাপে কলেজ ও বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, সংক্রমণ কমে এলে সেপ্টেম্বর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা স্কুলগুলো খুলে দিতে চাই। বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বেশিরভাগই কভিড-১৯-এর টিকা নিয়েছেন।

গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত মোট ২২ বার এ ছুটি দফায় দফায় বাড়ানো হয়েছে। শিক্ষকরাও চান স্কুল-কলেজ খুলুক। ঘরবন্দি ছাত্রছাত্রীরাও ক্লাসরুমে দ্রুত ফিরতে চায়, ফেলতে চায় স্বস্তির নিঃশ্বাস।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিষয়টি মাথায় রেখেই সেপ্টেম্বরে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সীমিত পরিসরে কেবলমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ে এ দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি চিঠি দিয়ে প্রতি দু’দিন অন্তর বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ক্লাসরুম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকাদান দ্রুত সম্পন্ন করা। শিক্ষকদের টিকাদান ইতোমধ্যে সম্পন্ন প্রায়। আগস্টজুড়ে টিকার বাইরে থাকা প্রায় ৮৪ হাজার বেসরকারি শিক্ষককে টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করা হবে। ৭ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সরকারি পর্যায়ের ‘শতভাগ শিক্ষকই’ টিকা নিয়েছেন। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তিন লাখ ৬৩ হাজার ২২২ শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ৭৮ হাজার ৪২৬ জন। বাকি আছেন প্রায় ৮৪ হাজার জন।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৪ হাজারের বেশি শিক্ষক টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তাদের মধ্যে টিকা নিয়েছেন ৩০ হাজারের বেশি। দীপু মনি বলেন, আগামী চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই সব শিক্ষকই টিকা নিয়ে নেবেন আশা করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আগে সব আবাসিক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এক লাখ ৭৯ হাজার ২৬১ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৯১৪ জন। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ছয় হাজার ৭২ জন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories