বিদ্যালয় আসলেই আনন্দের একটা জায়গা।সেখানে প্রিয় সহপাঠীদের সাথে যেমন পড়াশোনায় মত্ত থাকা যায়,তেমনি তাদের সাথে ঘটে মজার মজার কান্ড।মজার বিষয়গুলো নিজ স্মৃতিপটে এমনভাবে গেঁথে যায় যা কখনোই ভুলবার নয়। এমনি একদিনের ঘটনা।
তখন হয়তোবা অষ্টম কি নবম শ্রেণীতে পড়ি,বিদ্যালয়ের ছুটি শেষে আমরা বাড়ি ফিরছি। আমরা কয়েকজন একসাথেই বাড়ি ফিরতাম।পথিমধ্যে দেখতাম জবা ফুলের ঝাঁকড়া গাছ।তবে গাছটার কিয়দংশ একটা বাড়ির দেয়াল থেকে নিচে পড়ে থাকত।
ফুলগুলো দেয়ালের এপাশে আর রাস্তার ধার দিয়ে আমরা যেতাম বলে ফুলগুলো ইচ্ছেমতো ছেঁড়া যেতো। প্রতিদিন আমরা ফুল ছিড়তাম । ভাবতাম এই বাড়িতে বুঝি কেউ নেই।আমাদের দেখবে না কেউ। কিন্তু একদিন ঘটল বিপত্তি। আমরা আনন্দের সাথে সবাই ফুল ছিঁড়তে গিয়ে একজন বুড়িমতো মহিলা দিলো হাক,কে ফুল ছিঁড়লো বলে তেড়ে আসতে চাইলো। আমরা ফুল হাতে নিয়েই ভোদৌড়। দৌড়াতে দৌড়াতে একদম নিরাপদে স্থানে এসে দাঁড়াই।হাঁপাতে হাঁপাতে দেখি,আমরা যে কয়জন ফুল ছিঁড়েছি,সবার হাতেই ফুল আছে শুধু আমাদের মোটা করে এক বান্ধবীর হাতে ফুল নেই,হাতে আছে পাতা।জোর দৌড় দেওয়ার কারনে কখন যে হাত থেকে ফুল পড়ে গেছে,টেরই পায় নি সে। এছাড়া ভারী শরীর নিয়ে দৌড়াতে তার কষ্টও হয়েছে। এত কষ্টের পর হাতে কয়েকটা পাতা!! অতঃপর সে কান্না জুড়ে দিলো।
এরপর থেকে আমরা সিদ্ধান্তে আসলাম,গাছের ফুল আসলে গাছেই সুন্দর।
—————-
সুষ্মিতা সাহা
সহকারী শিক্ষক
পাহাড়পুর জি.এম.উচ্চ বিদ্যালয়,নওগাঁ।