অনলাইন ডেস্ক:
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তিতে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী বাংলাদেশ-ভারত পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলনমেলা। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ মিলনমেলা চলবে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এ মেলার লোগো ও প্রোমো উন্মোচন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ত্রিপুরা থেকে আগত প্রাদেশিক মন্ত্রী, অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সরকারি কর্মকর্তা ও
সুধীরা অংশগ্রহণ করবেন। এ উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। ভারত ও বাংলাদেশ জনগণের সমপ্রীতির সম্পর্ক ঐতিহাসিক। সেই সম্পর্ক ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, অথনৈতিক, বাণিজ্যিক, যোগাযোগ- সব ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় উঠিয়ে আনার প্রয়াস একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের জনগণ অসা¤প্রদায়িক উদার ও মানবতাবাদী বলেই ইতিহাসের পথরেখা অভিন্ন ধারায় বহমান। তাই নানা ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীরা কখনই জনগণের কাছে সমাদৃত হতে পারে না। আমাদের সম্পর্ক অনেক অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের এ ভাতৃপ্রতিম সম্পর্ক অচ্ছেদ্য ও অটুট আছে। দ্বিপক্ষীয় এ সম্পর্কের মধ্যে জনগণের সঙ্গে জনগণের সবচেয়ে গভীর আন্তঃসম্পর্ক স্থাপন হয় সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে।
ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এ লক্ষ্য নিয়ে এর আগে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক মিলনমেলার উদ্যোগ নেয়। এর আগে কুষ্টিয়া ও ঢাকা এবং ভারতে দুটিসহ চারবার মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার রাজশাহীতে পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক মিলনমেলা।