তানভীর রহমান
সহজ ভাষায় বোঝাতে গেলে বলা যায় কোনো কম্পানির বা ব্যক্তির অধীনে না থেকে নিজের সময় সুবিধে মতন মুক্তভাবে কাজ করাকেই ফ্রিল্যান্সিং বলে। যেমন ধরুন আপনি কোনো কম্পানিতে চাকরি করেন না কিন্তু ওই নির্দিষ্ট কম্পানির কোনো নির্দিষ্ট প্রজেক্টে কাজ করবার জন্য আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে অ্যাপ্লাই করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে নির্দিষ্ট সময়ে সেই কাজটি করে কম্পানিকে দিতে হবে।
ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেনঃ
বর্তমান বিশ্বে বেকারত্ব এক অন্যতম সমস্যা। তাই পড়াশোনা বা চাকরির চেষ্টার পাশাপাশি ঘরে বসে পার্ট টাইমে সৎভাবে উপার্জনের জন্য ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত ভালো একটি উপায়।
আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করে থাকেন সেক্ষেত্রে সেই বিষয়ে চাকরিতে যোগদানের পূর্বে আপনি সেই বিষয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকলে তা যেমন আপনাকে কাজের কনফিডেন্স দেবে তার পাশাপাশি চাকরি পেতে এক্সপিরিয়েন্স হিসেবেও কাজ করবে।
যদি আপনি ইতিমধ্যে কোনো কাজের সাথে যুক্ত থেকে থাকেন সেক্ষেত্রেও অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং কে বেছে নিতেই পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং এ কি কি কাজ করতে হয়ঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে, সেটা নির্ভর করবে কম্পানি বা ব্যক্তির প্রয়োজন এবং আপনার স্কিলের ওপর। বর্তমানে সবথেকে চাহিদায় থাকা ফ্রিল্যান্সিং এর কাজগ্রাফিক ডিজাইনিং (Graphics Designing) ➣ ওয়েবসাইট ডেভলপমেন্ট (Web Development) ➣ App ডেভলপমেন্ট (Mobile App Development) ➣ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) ➣ কন্টেন্ট রাইটিং (Content Writing) ➣ ভিডিও এডিটিং (Video Editing)
উপরে উল্লেখ করা কাজগুলি ছাড়াও অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবোঃ
ফ্রিল্যান্সিং এ পারদর্শী হওয়ার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কিছু স্কিল থাকা চাই, কাজ ভালো হলে তবেই কম্পানি গুলো আপনাকে কাজ দেবে। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ অনলাইনের মাধ্যমেই হয়ে থাকে, তাই আপনাকে সেই সমস্ত স্কিলে পারদর্শী হতে হবে যেগুলির মার্কেট ডিমান্ড রয়েছে।
যদি আপনার এই স্কিলগুলি না জানা থাকে সেক্ষেত্রেও চিন্তার কিছু নেই, আপনি খুব অল্প সময়েই এগুলি শিখে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। আপনি সাধারণ গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করে এই বিষয়গুলি সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন বা খুব অল্প সময়ে প্রফেশনালি এই কাজগুলি আপনি যেকোনো অনলাইন লার্নিং পোর্টাল থেকেও শিখতে পারেন।