• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
মাধ্যমিক স্তরে নারী শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার ৩৪.৮৭ শতাংশ স্বাস্থ্যসেবায় পাঁচ বছরে ব্যয় বেড়েছে তিন গুণ: গবেষণা ৫০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে মানুষের ঢল রাজধানীর কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পায় না: জাতিসংঘ অবন্তিকার মৃত্যু; সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী আটক জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজে আরও জলদস্যু উঠেছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ১০ বিশিষ্টজন পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪ গাজায় ইফতারের লাইনে দাঁড়ানো মানুষের উপর গুলি, নিহত ৬ শান্ত-মুশফিকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় জাহাজ অপহরণ ৫০ লাখ ডলার দাবি জলদস্যুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত: সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ হাইকোর্টের রমজানে খোলা থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মান্দায় শিশুপুত্রকে বাঁচাতে অসহায় বাবার আকুতি

প্রজন্মের আলো / ১০৪ শেয়ার
Update বৃহস্পতিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

সাহাদুল বাবু:

সাত মাস আগেও ছিল সুস্থ-সবল ও হাসিখুশি। ছোটাছুটি আর দুষ্টুমিতে মাতিয়ে রাখত বাড়ি। কিন্তু হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে শুরু হয় জ্বর। নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে আসলেও হারিয়ে যায় বাকশক্তি। একই সঙ্গে অবশ হয়ে যায় শরীরের ডানদিক। শিশুটি বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। উলট-পালট হয়ে গেছে হতদরিদ্র একটি পরিবারের স্বপ্ন।

শিশুটির নাম মাহমুদুল হাসান (৬)। সে নওগাঁর মান্দা উপজেলার পারএনায়েতপুর গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এতে ব্যয় হতে পারে ৫ লক্ষাধিক টাকা।

গতবছরের ২৭ জুন হঠাৎ খিঁচুনি দিয়ে জ্বর শুরু হয় শিশু মাহমুদুলের। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় ভর্তি করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রামেক হাসপাতালে সাতদিনের চিকিৎিসায় সুস্থ হলে শিশু মাহমুদুল হাসানকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর ৯ জুলাই রাতে খিঁচুনি দিয়ে আবারও জ্বর শুরু হলে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে আবারও ঠাঁই হয় রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে।

তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে আসে। কিন্তু হারিয়ে যায় বাকশক্তি। একই সঙ্গে শরীরের ডানদিক অবশ হয়ে যায়। বিভিন্নভাবে চিকিৎসা দিয়েও তাকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হয়নি। ঢাকার পিজি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দিতে হবে এমন পরামর্শসহ ছাড়পত্র দিয়ে শিশুটিকে ছেড়ে দিয়েছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু অর্থাভাবে পিজি হাসপাতালে নিতে পারেননি তার দরিদ্র বাবা-মা। বর্তমানে বিনা চিকিৎসায় বাড়িতে ধুকে ধুকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে শিশুটি। ছেলে মাহমুদুলকে লেখাপড়া শিখিয়ে সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল মিলন-হাসনাহেনা দম্পত্তির।

শিশুটির বাবা মিলন হোসেন জানান, ছেলে মাহমুদুল স্ট্রোক প্যারালাইজড এ আক্রান্ত হয়ে এখন মৃত্যু পথযাত্রী। তাঁর কোনো জমিজমা নেই। ঢাকায় রেডিমেট পোষাক তৈরির একটি কারখানায় সেলাইয়ের কাজ করেন। এ পেশার আয় দিয়ে চলে তাঁদের সংসার। কিন্তু করোনার কারণে সেই কাজও হারিয়েছেন অনেক আগেই। ছেলের চিকিৎসার জন্য যেটুকু সহায়-সম্বল ছিল এরই মধ্যে তাও শেষ হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁর ছেলে বিনা চিকিৎসায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করতে পারছেন না। এ অবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা কামনা করেন তিনি। তাঁর ব্যবহৃত ০১৭৪৬-১৫২১২৮ নম্বরে বিকাশ কিংবা নগদ ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক প্রসাদপুর শাখার ১২২১৪২৬১ নম্বর হিসাবে অনুদানের টাকা পাঠানোর আবেদন জানানো হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories