• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৮ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
ইসরায়েলের সঙ্গে গুগলের চুক্তি, প্রতিবাদ করায় চাকরি গেলো ২৮ কর্মীর তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৯৬ হাজার শিক্ষক নিয়োগ: আবেদন যেভাবে নওগাঁয় দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ একীভূত হচ্ছে ৩০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়টার্সের প্রতিবেদন ; ৫ মিলিয়ন ডলারে মুক্তি পেয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা করেছে ইরান ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের শক্তিশালী ৯ ক্ষেপণাস্ত্র নওগাঁয় ৪২ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ মান্দায় মদপানে তিন কলেজ ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নওগাঁর মান্দায় বিষাক্ত মদপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করুন: প্রধানমন্ত্রী ঈদের ৫ দিনের সরকারি ছুটি শুরু ঈদুল ফিতর বৃহস্পতিবার

৮৫ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রজন্মের আলো / ৮৯ শেয়ার
Update সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
ফাইল ফটো

অনলাইন ডেস্ক:

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই টিকার আওতায় চলে এসেছে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমরা দিতে পেরেছি। টিকার জন্য আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৫৫ লাখ, তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশকেই আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে এখনও মজুদ আছে দশ কোটি টিকা। এরপরও বেশকিছু লোক এখনও টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে টিকার প্রতি এখনো অনীহা রয়েছে। আমি আহ্বান করব, এখনও যারা টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময়ে আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন। করোনাকালীন চিকিৎসক-নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই, আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তারা এ ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস, ১০টি করে আইসিইউ যোগ করছি। সবমিলিয়ে জেলা হাসপাতালগুলোতে নতুন করে সাড়ে ছয়শ করে আইসিইউ ও সাড়ে ছয়শ করে ডায়ালাইসিস চালু হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলোতে আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে, সব শেখ হাসিনার উদ্যোগে হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা, টিকা ও চিকিৎসায় সফলতা, সব তার নির্দেশনা আর সহযোগিতায় করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, আজ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। ১ হাজার ৩৫০ বেডের এ হাসপাতালে দেড়শ করোনার শয্যা আছে। এখানে করোনার চিকিৎসাও হচ্ছে, পাশাপাশি নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যখন প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন একবার এই হাসপাতালে এসেছিলাম। সে সময় হাসপাতালটিতে খুবই খারাপ অবস্থা ছিলো। এখন উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণসহ বেশ উন্নতি হয়েছে। ৮০০ শয্যা থেকে সাড়ে তেরশো শয্যায় উন্নীত হয়েছে হাসপাতালটি।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমানসহ আরও অনেকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories