মাসুদ রানা:
দীর্ঘ কর্মবাস্ততায় ইদের ছুটি পেয়ে অনেকেই পরিবার নিয়ে ফেরেছেন বাড়িতে। বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজনদের মাঝে ইদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাস্ত সময় কাটাচ্ছে সবাই। এরই মাঝে পরিবার পরিজন নিয়ে চলছে ঘোরা-ঘুরি।
ইদের দিন বিকালে এবং ঈদের পরের দিন নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক দর্শনীয়স্থান পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের যেন ঢল নেমে আসে। পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায় বিহারের ইতিহাসে এক দিনে এতো দর্শনার্থী আর কখনো হয়নি।
বিহারের সকল কর্মচারী মিলে টিকেট দিয়ে শেষ করা যায় না। শুধু ইদের পরের দিন ৫ লাখ টাকার অধিক টিকেট বিক্রি হয়। বিহারে ভিতরে ও বাহিরে জনতার যেন ঢল নেমে আসে। বিহারের চতুর্দিকে রাস্তাঘাটে যানজট ও দর্শনার্থীদের অতিরিক্ত ভিড় জমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থানীয় নেতা কর্মিসহ যুব সমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে দর্শনার্থীদের হয়রানি রোধে সেবা দিয়েছে।
এছাড়া ঐতিহাসিক হলুদ বিহার দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে। জেলার বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের দ্বীপগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক হলুদ বিহার। ইদ আনন্দে পরিবার পরিজন নিয়ে হলুদ বিহার দর্শনের জন্য ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
একই সাথে ইদের আনন্দকে রাঙিয়ে তুলতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষেরা ভিড় করছে ঐতিহাসিক স্থান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে। হলুদ বিহার, পাহাড়পুরসহ জেলার বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্র এখন মানুষের পদচারণায় মুখরিত।
মান্দা থেকে আগত দর্শনার্থী রবিউল ইসলাম ও মেহেদি হাসান জানায়, আমরা পাহাড়পুর ও হলুদ বিহার দুই জায়গাতেই ঘুরলাম । হলুদ বিহার এতো দিনে যে সংস্কার হয়নি এটা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার জাদুঘর কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম জানায়, ইদের দিন বিকালে দর্শনার্থী এসেছে এবং ইদের দ্বিতীয় দিন দর্শনার্থীদের খুবই ভিড় ছিল। ২৫ হাজারের বেশি দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল যা বিহারর ইতিহাসে রেকর্ড। এক দিনে ৫ লাখ টাকার অধিক রাজস্ব আয় আসে এবার।