• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ অপরাহ্ন
  • Bengali Bengali English English
সংবাদ শিরোনাম
যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল, ভোট জানুয়ারির শুরুতে ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন ওবায়দুল হাসান ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে ঢাকায় আসছেন মার্কিন দূত রেনা বিটার শিক্ষক নিবন্ধন: এনটিআরসিএর বিজ্ঞপ্তি ডিএমপি কমিশনার গোলাম ফারুককে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসা নীতিতে যুক্ত হবে: মার্কিন রাষ্ট্রদূত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যের ওপর মার্কিন ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হয়েছে’ স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: রাষ্ট্রপতি যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন না আওয়ামী লীগ নেতারা শিক্ষা খাতে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের মুস্তাফিজের জোড়া আঘাতে বিপর্যয়ে নিউজিল্যান্ড বাইরে থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশও স্যাংশন দেবে: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায় প্রতি ১০ জনে ১ জন

প্রজন্মের আলো / ৭ শেয়ার
Update সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
বিশ্বে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায় প্রতি ১০ জনে ১ জন

অনলাইন ডেস্ক:

এই মুহূর্তে বিশ্বের ৭০ কোটি মানুষ জানে না, তারা আবার কখন খেতে পারবে বা আদৌ পারবে কি না, আর ৭৮ কোটিরও বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রতি দশ জনে এক জনকে রোজ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমোতে যেতে হয়। সাড়ে ৩৪ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে খাদ্যের কোনও নিরাপত্তা নেই। এই সংখ্যাটা ২০২১ সালের প্রথমদিকে কোভিড অতিমারির আগেও ২০ কোটি কম ছিল।

বৃহস্পতিবার এমনই এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প। সংস্থার উদ্বেগ, ক্ষুধার সঙ্কট ক্রমবর্ধমান। বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের কার্যনির্বাহী প্রধান সিন্ডি ম্যাককেইন নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, অনুদানের অভাবে খাদ্য রেশনে কাটছাঁট করতে হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতেও তা করতে হবে।

প্রয়াত মার্কিন সিনেটর জন ম্যাককেইন স্ত্রী সিন্ডি নিরাপত্তা পরিষদে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমরা এমন সব ঘটমান এবং দীর্ঘমেয়াদি সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি, যাতে মানবিক অভাব-অনটন বেড়ে যাচ্ছে। এটাই এখন ‘নিউ নরমাল’। এর ধাক্কা আরও অনেক বছর ধরে ভুগতে হবে। এই সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে সামরিক সংঘর্ষ, অর্থনৈতিক ধাক্কা, পরিবেশের সঙ্কট এবং সারের দামবৃদ্ধি। এই সবের মিলিত অভিঘাতে, বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের নিজস্ব হিসাব বলছে, ৫০টি দেশে ৪ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের ঠিক আগের অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন। পাঁচের কম বয়সি সাড়ে চার কোটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।

অতিমারি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি অনেক বেশি ঘোরালো করে তুলেছে বলে সরাসরিই মানছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সারের দাম বাড়ায় ধান, গম, ভুট্টা, সয়াবিনের ফলন কমেছে। এমতাবস্থায় ক্ষুধার সঙ্কটকে সামাল দিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি বাড়ানোর উপরে জোর দিচ্ছে ডব্লিউএফপি। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো অবশ্য তাতে রাজি।

মাস্টারকার্ডের সিইও মাইকেল মিব্যাচ যেমন নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে বলেছেন, ‘‘এত দিন অবধি ত্রাণের কাজটা সরকারের হাতেই থেকেছে। বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি অর্থ জুগিয়েছে। কিন্তু তারা চাইলে এর বেশিও করতে পারে। সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে পারে।’’ গোল্ডম্যান স্যাক্স-এর তরফে জ্যারেড কোহেন বলেন, এমন অনেক বহুজাতিক সংস্থা আছে যাদের আয় জি২০-ভুক্ত কিছু দেশের জিডিপি-র চেয়ে বেশি। এই সঙ্কটকালে তাদের অনেক বেশি করে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

বিশ্ব খাদ্য প্রকল্পের (ডব্লিউএফপি) সদর দপ্তরটি রোমে। ৭৯টি দেশে কাজ করে তারা। সূত্র: আনন্দবাজার


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও সংবাদ

Categories